সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: এসএসসি (SSC) নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) তদন্ত রিপোর্টে ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান। আগে আবর্জনা পরিষ্কার করুন, গোটা প্যানেল খারিজ করা উচিত। মন্তব্য হাইকোর্টের (High Court) বিচারপতি (Justice) বিশ্বজিৎ বসুর। 


পর্যবেক্ষণে বিচারপতি এও জানান, এটা হিমশৈলের চূড়া, গোটা হিমশৈল জলের নীচে। ভবিষ্যতের ছাত্ররা শিক্ষকদের দিকে আঙুল তুলবে। জিজ্ঞাসা করবে, এঁরা কেমন শিক্ষক? সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাতে অবৈধভাবে নিযুক্তরা অংশ নিতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, আমিও সেই লড়াইয়ে সামিল হচ্ছি।                    


বুধবারই, কলকাতা হাইকোর্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে CBI। যার ছত্রে ছত্রে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেমন, শূন্য হয়ে গেছে ৫৩,  এক হয়ে গেল ৫০, আবার ২ হঠাৎ করে হয়ে গেল ৫২! সিবিআইএর রিপোর্ট সম্পর্কে গ্রুপ D’র নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, হিমশৈলের চূড়ামাত্র। গোটা হিমশৈল জলের নিচে আছে। ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান। এরা শিক্ষক, এরা সমাজ গড়ে, এরা অন্য কোনও পেশায় নেই। ভবিষ্যতে ছাত্ররা শিক্ষকদের দিকে আঙুল তুলবে, জিজ্ঞাসা করবে এনারা কেমন শিক্ষক?                                                


আরও পড়ুন, অপরাধীকে ধরতে হবে, শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের রিপোর্ট দেখে সন্তোষ প্রকাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের


বিচারপতি আরও বলেন, আমি জানি না এর শেষ কোথায়। আগে আবর্জনা পরিষ্কার করুন। গোটা প্যানেল খারিজ করা উচিত। সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধ ভাবে নিযুক্ত ব্যক্তিরা যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা উচিত। দুর্নীতিবাজদের ফল ভুগতে হবে।


এর পাশাপাশি ১৮ই নভেম্বরের মধ্যে CBI’এর রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে। 


এদিকে, শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের রিপোর্ট দেখে সন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির মন্তব্য, রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে সিবিআই ভাল কাজ করেছে। তাদের ধন্যবাদ। মূলচক্রীকে তারা খুঁজে বের করতে পারবে বলে আদালত আশাবাদী।