সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি বাতিলের জের, বিদ্যালয়ের একমাত্র করণিক এবং একমাত্র চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর চাকরি গিয়ে বিপাকে নদিয়ার রাণাঘাট-২ ব্লকের রথতলা কলোনী হাইস্কুল। বিদ্যালয়ের তালা খোলা, প্রতি পিরিয়ডে ঘণ্টা বাজানো, সবই একার হাতে সারতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষককে।

আরও পড়ুন, হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ, 'আন্দোলনকারীদের থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে..' !

কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, শিক্ষাশ্রীসহ একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের কাজ থেকে শুরু করে, বিদ্যালয়ের তালা খোলা, প্রতি পিরিয়ডে ঘণ্টা বাজানো, সবই একার হাতে সারতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষককে। কাজের চাপে লাটে ওঠার জোগাড় প্রধানশিক্ষক পদের জন্য নির্দিষ্ট কাজ। এরইমাঝে আবার চলছে পরীক্ষাও।প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার ঘোষ বলেন, এমনিতেই আমাদের বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। মাত্র ১০ জন মিলে স্কুল চালাতে হয়। ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৪০০।

এতদিন অবতীর গতি একমাত্র করণিক এবং একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী ছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায় সেই দু’জনের চাকরি গিয়েছে। এখন আমাদের মাথায় এতটাই চাপ যে কোন কাজ ছেড়ে কোন কাজ হবে, তাই ঠাহর করতে পারছি না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো যত দ্রুত সম্ভব এই অচলাবস্থা কাটানোর জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নিন। না হলে আমাদের মত বহু স্কুল চালানোই দায় হয়ে পড়ছে।

প্রসঙ্গত, এবার চাকরিহারাদের আইনি সহায়তার আশ্বাস দিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও শুভেন্দু অধিকারী, দুজনই। সুপ্রিম কোর্টে পুনর্বিবেচনার যে আবেদন করা হবে, সেখানে রাজ্য় সরকারের তরফে কোন কোন আইনজীবী থাকতে পারেন সোমবার নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠক থেকে তাঁদের নাম জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্য়দিকে, বিরোধী দলনেতা বলেন, চাকরিহারাদের জন্য়, প্রয়োজনে তাঁদের বিধায়করা চাঁদা দিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করবেন। মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'আমরা আইনজীবী যাদের দিয়েছিলাম এবং এখনও দেব।' 

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আপনারাও নিজেরা OMR এবং অ্যাকাডেমিক নিয়ে যদি সুপ্রিম কোর্টে যান, আমরা আইনজীবী দেব।'রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।  সেই রায় নিয়ে নতুন করে আইনি লড়াইয়ের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে পুনর্বিবেচনার যে আবেদন করা হবে, সেখানে রাজ্য় সরকারের তরফে কোন কোন আইনজীবী থাকতে পারেন সোমবার নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠক থেকে তাঁদের নাম জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, 'আমরা আইনজীবী যাদের দিয়েছিলাম এবং এখনও দেব, সেই আইনজীবী কারা,.. আমরা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে বলছি, আমরা কপিল সিব্বলকে বলছি। আমরা রাকেশ দ্বিবেদীকে বলছি। আমরা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি। আমরা প্রশান্ত ভুষণকেও বলতে বলেছি। তাছাড়াও আরও অনেক লিগাল ফার্ম থাকবে, তারা যোগ্য টিচারদের হয়ে আইনের লড়াই করবে।'