কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: ২০১৬- সালের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে হাইকোর্ট। আচমকা চাকরি হারিয়েছেন ২৫৭৯৩ জন। এই ঘটনার পরেই যোগ্য ও অযোগ্য কারা তা নিয়ে যেমন আলোচনা শুরু হয়েছে। তেমনই প্রশ্ন উঠেছে এসএসসি-এর ভূমিকা নিয়েও। এসএসসি-র তরফে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। হাইকোর্টের রায়ে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে মামলার সময় স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে সহযোগিতা মেলেনি। এই অবস্থায় সাংবাদিক সম্মেলন করল এসএসসি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গোটা প্যানেল বাতিলের দায় নিতে কার্যত অস্বীকার করা হয়েছে।    


এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন, আদালতে ৩ বার হলফনামা দিয়ে তালিকা দেওয়া হয়েছিল। আদালতে প্রায় ৫,৩০০ জনের নামের তালিকা পেশ করা হয়েছে। কিন্তু এসএসসি-র তালিকায় সন্তুষ্ট ছিল না আদালত, মানলেন চেয়ারম্যান। অযোগ্যদের বাদ দিলে সবাই কি যোগ্য? এর অবশ্য স্পস্ট উত্তর নেই এসএসসি-র কাছে।


এদিন প্রেস কনফারেন্স করে জানানো হয়, ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর এবং ৫ জানুয়ারি তিনটি হলফনামায় অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, 'আমি বিতর্কিত কথাটা ব্যবহার করছি। কেউ কেউ  আছেন অন মেরিট কিন্তু পোস্ট এক্সপায়ার হয়েছে কিন্তু অন মেরিট। কোর্টের অর্ডারও হয়েছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে।' মোট সংখ্যাটি ৫২৫০ জন। 


সেক্টর-ভাগ করলে
গ্রুপ সি: ১১৩৩
গ্রুপ ডি: ২৩১৩
একাদশ-দ্বাদশ: ৮১১
নবম-দশম: ৯৯৩


২৫৭৯৩ থেকে যদি এই অযোগ্য প্রার্থীদের সংখ্যা বাদ দেওয়া হয়। তাহলে কি বাকিরা যোগ্য়? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 


আমি এইভাবে দেখি না। একটা লিস্ট বেরিয়েছে, সেখানে একটা অংশ আদালতের বিচারে। আজ আদালতের বিচারে সবাই অযোগ্য। তার আগে পর্যন্ত কেউ অযোগ্য হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। কেউ ব়্যাঙ্ক জাম্পিংয়ের জন্য প্রমাণিত হয়েছেন। কেউ আবার এলিজিবিলিটি নেই তার জন্য প্রমাণিত হয়েছেন। তাঁদের বাদ দিয়ে বাকি সবাইকে যোগ্য বলে ধরে নিতে হবে যদি না অন্যকিছু প্রমাণিত হয়। আগে থেকে সেভাবে সার্টিফাই করা যায় না। লিস্ট যা সেটার সঙ্গেই আমাদের থাকতে হবে। তাঁর সংযোজন, 'OMR থাকলে আইনি জটিলতা কমত, কাজ কমত কি না জানি না। তবে আইনের চোখে গ্রহণযোগ্য হতো।'


এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করতেই হবে। ২০১৬ সালের যে নিয়োগ বাতিল হয়েছে সেই পরীক্ষার আগেই একটি নতুন নিয়ম করেছিল এসএসসি। নতুন নিয়মে ওএমআর শিট ১ বছর রেখে নষ্ট করে ফেলা হবে। এর আগে খাতায় পরীক্ষা হতো এবং সেক্ষেত্রে ৩ বছর রাখা হতো। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: দুই মেদিনীপুরে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস! কবে হবে বৃষ্টি?