কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়েছে পর্ষদের তৎকালীন সভাপতিকে। এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সিবিআই তদন্তের শেষে দুর্নীতিমুক্ত বলে প্রমাণিত হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সোমবার, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।
কী বললেন প্রাক্তন সভাপতি:
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'এই যে কথাগুলো লোকে বলছে, পর্ষদ দুর্নীতিতে যুক্ত, তদন্তে পর্ষদ will come out with flying clours।' সাংবাদিক বৈঠকে ঠিক এই দাবিটাই করেছেন প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নাম জড়িয়েছে স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। গত ১৬ জুন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে তাঁর কাদাপাড়ার বাড়ি থেকে পর্ষদ অফিসে নিয়ে যায় সিবিআই। সেখানে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সেই জিজ্ঞাসাবাদের ৭ দিনের মাথায়, শিক্ষা দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, পর্ষদের সভাপতি পদে রদবদল করা হয়। সোমবার কল্যাণময়ের কাছ থেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। বর্তমান সভাপতিকে পাশে নিয়েই সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রাক্তন সভাপতি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম ওঠার পর থেকেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদে (West Bengal Board of Secondary Education) কল্যাণময়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তাঁর মেয়াদ বর্ধিত করা হবে বলে বেশ কিছু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। তবে এই ঘটনার পর তাঁর জায়গায় অন্য কাউকে নিয়োগ করা হতে পারে বলে চলছিল চর্চা। তাতেই সিলমোহর পড়েছিল।
রিপোর্টে অভিযোগ:
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের কমিটি যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, সেই রিপোর্টে ছত্রে ছত্রে বেনিয়মের উল্লেখ রয়েছে। এমনকি এটাও বলা হয়েছে যে, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বেআইনি নিয়োগপত্র তৈরি হত। তারপরেই জিজ্ঞাসাবাদ, তারপরে সভাপতি পদে বদল। তারপরে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রাক্তন সভাপতি দাবি করেন, দুর্নীতিমুক্ত বলে প্রমাণিত হবে পর্ষদ।
আরও পড়ুন: 'পরেশ অধিকারীর জন্য বাইরে বেরোনো যায় না', খেদ তৃণমূল নেতার