সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় এবার সিবিআই (CBI) নজরে জেলার স্কুল সাব ইন্সপেক্টররা (Sub inspector)। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) প্রাথমিক স্কুলে কতজনকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ? জেলার ১৫ জন স্কুল সাব ইন্সপেক্টরকে তলব করল সিবিআই।  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২১ নভেম্বর নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) তলব বলে সূত্রের খবর।         

  


এদিকে SSC’এর গ্রুপ D নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার হাইকোর্টে ফের রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। মুখবন্ধ খামে জমা পড়া সেই রিপোর্ট দেখেই ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিচারপতি! তাঁর আশঙ্কা, এরকম চললে তো ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কই নষ্ট হয়ে যাবে।                                       


বিচারপতি এও বলেন, এরকম হলে তো, কেউ নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেলেও, ছাত্ররা তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। ২০১৬ সালে স্কুলে গ্রুপ D’র কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেইমতো প্যানেল তৈরি করে নিয়োগও হয়। ২০১৯ সালের ৪ মে, সেই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে একাধিক প্রার্থীকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তদন্তে নামে CBI।                                                                


আরও পড়ুন , ঝলমলে পাঞ্জাবি-পাজামা, হাত ভর্তি আংটি! বিধানসভায় 'কালারফুল' মদন


অন্যদিকে, স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন SSC’র গ্রুপ D’র কর্মপ্রার্থীরা। এরইমাঝে চলতি বছরের মে মাসে, গ্রুপ D-তে নিয়োগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৮০টি শূন্যপদ তৈরির ঘোষণা করে রাজ্য সরকার।  এদিন সেই প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, এবার বুঝতে পারছি কেন এই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। 


এর আগে, গত ২৯ সেপ্টেম্বরও এই মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে রিপোর্ট জমা দেয় CBI। সেদিনও নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে, ভয়ঙ্কর, বিস্মিত, হিমশৈলের চূড়ামাত্রর মতো শব্দ ব্যবহার করেছিলেন বিচারপতি।