কলকাতা: এসএসসি (SSC) দফতরে সিআরপিএফ (CRPF) মোতায়েনের সময়সীমা বাড়াল হাইকোর্ট (Calcutta High court)। নির্দেশে বলা হয়েছে, আগামিকাল পর্যন্ত এসএসসি দফতরে (SSC) মোতায়েন থাকবে সিআরপিএফ। পাশাপাশি ডেটাবেস রুম সিল করে দখল নেবে সিবিআই (CBI)। আদালত নিযুক্ত ব্যক্তিরা ছাড়া কেউ ঢুকতে পারবেন না বলেই জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। 


প্রেক্ষাপট: গতকাল গভীর রাতে নাটকীয় মোড় নেয় SSC-মামলা! চেয়ারম্যানের পদত্যাগের পর, তথ্যপ্রমাণ বিকৃতির অভিযোগ জানিয়ে, ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন  মামলাকারীরা। তাদের বক্তব্য শুনে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, রাত থেকেই এসএসসি দফতরকে সিআরপিএফ নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলার নির্দেশ দেন। দফতরের সিসিটিভি ফুটেজও আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন তিনি। আজ রাত কাটতে ফের সিআরপিএফ মোতায়েনের সময়সীমা বাড়ায় হাইকোর্ট।


নয়া নির্দেশ: আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, ডেটাবেস রুমের পাহারায় থাকবেন ২জন সিআরপিএফ জওয়ান। আদালতের অনুমতি নিয়ে ডেটাবেস রুমে প্রবেশ করতে পারবে এসএসসি। এসএসসি সচিবের উপস্থিতিতে আজই ডেটা বেস রুমের দখল নেবে সিবিআই। আজ সন্ধে ৭টার মধ্যে ডেটাবেস রুমের দখল নিয়ে সিল করবে সিবিআই। 


SSC’র নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় প্রায় মধ্যরাত অবধি কলকাতা হাইকোর্টে বেনজির শুনানি। মামলাকারীদের তরফে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ শুনে একের পর এক কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বললেন ‘বুধবার রাত সাড়ে বারোটা থেকে, CRPF’এর নিরাপত্তায় মোড়া থাকবে SSC দফতর। বৃহস্পতিবার দুপুর একটা অবধি SSC’র অফিসে ঢুকতে পারবেন না কেউ। বৃহস্পতিবার SSC দফতরের CCTV ফুটেজ জমা দিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টে’।


পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ: গতকাল অর্থাৎ ১৮ মে দিনভর এসএসসি নিয়ে অস্বস্থি চলছিলই। SSC’র নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়, বুধবার বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে এসএসসি’র উপদেষ্টাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। এর মধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। তাঁর পদে বসেন আইএএস শুভ্র চক্রবর্তী।  এর পরই নথি বেহাত হওয়ার আশঙ্কা জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান পদ থেকে সিদ্ধার্থ মজুমদারের ইস্তফার পর SSC’র দফতরে গেছিলেন ৫ উপদেষ্টার সহযোগীরা। সেখানে তথ্য বিকৃত কিংবা নষ্ট করা হয়ে থাকতে পারে বলেও অভিযোগ করেন মামলাকারীরা। সবমিলিয়ে এসএসসি দুর্নীতি মামলা নিয়ে আজও উত্তেজনা অব্যাহত।