কলকাতা: রোগী না থাকলেও, কাজ গুটোচ্ছিলেন হাসপাতালের কর্মীরা। সেই সনময়ই কলকাতার এসএসকেম হাসপাতালের জরুরি বিল্ডিংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটল (SSKM Hospital Fire)। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, যেখানে আগুন লেগেছে, সেটি হল, এসএসকেএম-এর এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের দোতলায় অবস্থিত। সেখানে সিটি স্ক্যান হয়। বেশ কিছু ল্যাবরেটরিও রয়েছে। সেখান থেকেই আগুনের উৎপত্তি বলে জানা যাচ্ছে হাসপাতাল সূত্রে (Kolkata News)। 


সিটিস্ক্যান যেখানে হয়, আগুন লাগে সেখানেই


হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের প্রথম তলে যেখানে সিটিস্ক্যান এবং ইউএসজি হয়, সেখানেই আগুন লাগে। বৈদ্যুতিক বিভ্রাটের জন্যই আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। সিটিস্ক্যানের মেশিন এবং যন্ত্রাংশ থেকেই আগুিন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালের ভিতরেই পৃথক দমকল বিভাগ রয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশও। দমকলের নয়টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। 


আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, "আমরা উপরে গিয়েছিলাম। এখনও পর্যন্ত যা বোঝা যাচ্ছে, একটি স্ক্যান করার মেশিনে থেকে আগুন লাগে। সেখান থেকেই ধোঁয়া। দমকল এবং পুলিশ সেটিকে বন্ধ করেছে। এখন আগুন নেই। কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনই বলা সম্ভব নয়। দমকল, পুলিশ রয়েছে। সব মিটলে বোঝা যাবে। তবে ওখানে রোগী  ছিল না।"


আরও পড়ুন: SSKM Hospital Fire: উপরের তলাতেই রোগী, মই বেয়ে উঠে ভাঙা হচ্ছে জানলার কাচ, SSKM-এ দমকলের ৯ ইঞ্জিন


বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। যেখানে আগুন লেগেছে, সেটি হল, এসএসকেএম-এর এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের দোতলায় অবস্থিত। সেখানে সিটি স্ক্যান হয়। বেশ কিছু ল্যাবরেটরিও রয়েছে। বিল্ডিংয়ের ভিতরে আগুন ধরেছে। যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে একাধিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রও ছিল। ফলে আতঙ্ক ছড়ায়।


হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফার্স্ট ফ্লোরে নিউ ক্যাজুয়াল্টি ব্লকে ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। যেহেতু ধোঁয়া বেরোচ্ছে, তাই রোগীদের নিরাপত্তার কারমে নিউ ব্লকের ম্যাকেঞ্জি ওয়ার্ডে এবং ট্রমা কেয়ার সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।


হাসপাতালের এক কর্মী জানিয়েছেন, আমরা ভিতরে ছিলাম। রিপোর্টিং রুমে গিয়ে দেখি কালো ধোঁয়া। দাউদাউ করে আগুন দেখলাম। নিজেরা নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু এত দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন, যে নেভাতে পারিনি। বরং বেড়ে যাচ্ছিল। তাতে সবাই বেরিয়ে আসি।" 


মই এনে, জানলার কাচ ভেঙে আগুন নেভানোর চেষ্টা হয়


হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছতে না পেরে আনা হয় মই। জানলার কাচ ভেঙে আগুন অ্যারেস্ট করার চেষ্টা চলে, যাতে করিডর হয়ে অন্যত্র আগুন ছড়াতে না পারে। যেখানে আগুন লাগে, তার ঠিক উপরেই রোগীদের ওয়ার্ড। তাই আগুন যাতে কোনও ভাবে সেখানে পৌঁছতে না পারে, তা নিশ্চিত করাই এখন প্রধান লক্ষ্য।