প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে ইডি-র চিঠির উত্তর দিল এসএসকেএম । সূত্রের খবর, হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, এর জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হচ্ছে । সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই, জানানো হয়েছে এসএসকেএম-এর তরফে। এক্ষেত্রে রোগীর শারীরিক অবস্থাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে ইডি-কে জানানো হয়েছে। ইডি-র দাবি, এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা না করলে, আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনা ইডি-র,খবর সূত্রের।


গত কয়েক মাস ধরেই কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার চেষ্টা করছেন ইডির (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা । ইডি-র তরফে দাবি করা হয়, তারা যখন হাসপাতালে গিয়েছিল, তখন হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয় তিনি (সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র) অসুস্থ। এখন তিনি মানসিকভাবে সুস্থ নন। সেদিন কয়েক ঘণ্টা হাসপাতালে থাকার পর খালি হাতে ফিরে এসেছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এবং ইডি আধিকারিকরা।


তিন দিন আগে আবার খবর পাওয়া যায়, ইডি আধিকারিকরা আবার এসএসকেএম হাসপাতালকে চিঠি পাঠিয়েছেন, কণ্ঠস্বরের নমুনা তাঁরা নিতে চান। দ্রুত একটা তারিখ দেওয়া হোক। সূত্রের খবর, ইডির সেই মেলের উত্তর দিয়েছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। উত্তরে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই মেডিক্যাল বোর্ড মেডিক্যাল টেস্ট করে ঠিক করবে কোন দিন কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া সম্ভব হবে।


মূলত বাইপাস সার্জারির ২ মাস পার। এখনও এসএসকেএমে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সূত্রের খবর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকদের দিয়ে সুজয়কৃষ্ণর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত জানানো হোক, কবে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা যাবে। এর আগে সুজয়কৃষ্ণর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞকে নিয়ে SSKM হাসপাতালে যান ED-র অফিসাররা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরেও মেলেনি নমুনা। 


মূলত হাসপাতালে ভর্তি থাকায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারছে না ইডি। 'বেসরকারি হাসপাতাল ছেড়ে দিলেও কেন এতদিন এসএসকেএমে সুজয়কৃষ্ণ? কী চিকিৎসা চলছে? কী ওষুধ দেওয়া হচ্ছে সুজয়কৃষ্ণকে?' সুপারের কাছে জানতে চেয়ে বয়ান রেকর্ড করেছিল ইডি। ফের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। 


প্রসঙ্গত, এর আগে এবিপির প্রশ্নের উত্তরে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত  সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বলেন, 'সব সত্যি একদিন সামনে আসবে।'