কলকাতা: এসএসকেএম-এ কাঁচি কেলেঙ্কারির অভিযোগ ঘিরে প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। মূলত এসএসকেএম-এ প্রসূতি বিভাগে অপারেশন থিয়েটারে রোগীর পেট কাটতে গিয়ে ভেঙে মরচে ধরা কাঁচি ! ভাঙা কাঁচির ছবি পোস্ট করে প্রতিবাদে সরব হয় জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। এবার এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'এজন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়' !
শুভেন্দু বলেন, 'জং ধরা কাঁচি পাওয়া যাচ্ছে এসএসকেম-এ। যাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি, যে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে ভাল হাসপাতাল। আর সেখানেই জং ধরা কাঁচি পাওয়া গিয়েছে! আমাদের তো বলার কিছু নেই। ১৩ বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় স্বাস্থ্য বাজেট হয় না। এরাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে গিলোটিনে পাঠানো হয়েছে। এজন্য দায়ী রাজ্যের অপদার্থ-অযোগ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী, যিনি সন্দীপ ঘোষের মাথার উপরে হাত ছিল, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। '
অপরদিকে, উপাধ্যক্ষ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ট্রমা সেন্টারের গ্লাভসের লাল দাগ রক্তের নয়। বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষাতে প্রমাণ মিলেছে। লাল দাগগুলি কিসের জানতে পাঠানো হচ্ছে ফরেন্সিক ল্যাবে। তদন্তে উঠে এসেছে আরও নতুন তথ্য। যে বাক্সে গ্লাভস এসেছিল তার ব্যাচ নম্বরের সঙ্গে গ্লাভসের প্যাকেটের নম্বরের মিল নেই।'
এক জুনিয়র চিকিৎসকের দাবি, জরুরি বিভাগে HIV আক্রান্ত এক রোগীকে পরীক্ষা করছিলেন। সিল করা প্যাকেট খুলতেই, তা থেকে দাগ লাগা গ্লাভস বের হয়।চিকিৎসকের দেখেই সন্দেহ হয় এই দাগ রক্তের।আর জি কর মেডিক্যাল জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, যেহেতু HIV পেশেন্ট আছে, প্রিকশানের জন্য গ্লাভস যখন ইউজ করতে যাচ্ছি। ফ্রেশ সাপ্লাই এসেছে এই গ্লাভসটা, খুলেই প্রথমে বের করতে গিয়ে এই গ্লাভসটা পেলাম। ভাবলাম, কেউ হয়তো পুরনো গ্লাভস উপরে রেখে দিয়েছে। সেই কারণে এই গ্লাভসটা ফেলে অন্য গ্লাভস দেখতে গেলাম, দেখলাম একাধিক গ্লাভসেই এই রকম দাগ। এবার এটা রক্তের দাগ নাকি কী, সেটা অবশ্যই পরীক্ষা করে বলতে হবে। মনে হচ্ছে এটা ব্লাড স্টেন।'
আরও পড়ুন, কালী পুজোর আগে কাঁকসায় ডায়রিয়ার প্রকোপ, মৃত ১, অসুস্থ বহু, 'আসে না সরকারের পরিস্রুত পানীয় জল..' !
অনেক সময় ব্যবহার করা সিরিঞ্জও পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আর জি কর মেডিক্যালের নার্সরা। আর জি কর মেডিক্যালসের এক নার্স বলেছিলেন,'অনেক সিরিঞ্জ এখনও যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে, যেগুলো রি-ইউজ করা, যেমন সিরিঞ্জের হয়তো প্লাঙ্গার ভাঙা, বা ভিতরে ব্লাড লাগা, এই রিসাইক্লিংগুলো হচ্ছে। এগুলো যদি আগে থেকেই ইনট্যাক্ট ফর্মে আসে, তাহলে তো কোনওভাবেই ইনফেকশন কন্ট্রোল করা পসিবল নয়, যেটা পেশেন্টের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।