কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: মিড-ডে মিলে এবার মুরগির মাংস। স্কুলে মিড ডে মিলে ডাল-ভাত-তরকারির সঙ্গে থাকবে মুরগির মাংসও। পাশাপাশি ফলও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর কদিন পরেই পঞ্চায়েত ভোট, তার আগে এমন সিদ্ধান্ত।
কবে থেকে এমন কাজ:
জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মিড ডে মিলে নতুন খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
বরাদ্দ কত?
মিড ডে মিলে মুরগির মাংস, ফলের জন্য ৩৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাজ্যের। প্রতি সপ্তাহে পড়ুয়াপিছু অতিরিক্ত ২০ টাকা করে বরাদ্দ করছে রাজ্য সরকারের। মিড ডে মিল নিয়ে জেলা শাসকদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার।
স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। কোন জেলায় কত টাকা বরাদ্দ করা হবে, তার তালিকা প্রকাশ করা হবে। কীভাবে প্রকল্প কার্যকরী করা হবে, তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক তরজা:
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'যদি সারা বছর কাজ করে থাকে। তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে মাংস ভাত খাওয়ানোর কী দরকার পড়ল, ফল খাওয়ানোর কী দরকার পড়ল। মুখ্যমন্ত্রী আসলে বুঝতে পারছেন, আবহাওয়া ঠিক নয়, মানুষ ঘুরে গিয়েছে। মানুষ লুটের টাকা দেখে নিয়েছে।'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'ভাল কথা তো। মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়ানোর কথা। অনেকদিন মানুষের দাবি ছিল এটা। কিন্তু এই কদিন কেন? এপ্রিল পর্যন্ত কেন? মে মাসে ভোট বলে? সারা বছরের জন্য করুক এটা।'
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'সিপিএম শিক্ষাকে রসাতলে নিয়ে গিয়েছিল, ওদের মুখে এটা শোভা পায় না। বিজেপি নিজেরা এই ধরনের কাজ করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সারা বছর মানুষের জন্য় কাজ করেন। এটা ভোটের জন্য আলাদা করে কিছু নয়।'
মিড-ডে মিলের প্রকল্প পড়ুয়াদের পড়াশোনা ও স্বাস্থ্য দুইয়ের জন্য়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকার সময় মিড-ডে মিল বিলি নিয়ে নানা সমস্যা হয়েছিল। পরে পড়ুয়াদের কাছে প্রয়োজনীয় মিড-ডে মিল সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার পদক্ষেপ করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে।
মিড-ডে মিল নিয়ে ক্ষোভ:
নানা সময়ে বিভিন্ন জেলায় মিড-ডে মিল নিয়ে ক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে। কখনও খাবারের খারাপ মান নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। কখনও আবার অপর্যাপ্ত খাবার নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। মিড-ডে মিল নিয়ে বিভিন্ন সময় স্কুলে উপরও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে অভিভাবকদের।