কলকাতা: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরও জোরাল। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল, তাঁদের বেতন ও আর্থিক সুবিধা বন্ধ করল রাজ্য সরকার। এই মর্মে রেজিস্ট্রারদের চিঠি পাঠাল উচ্চশিক্ষা দফতর। শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা না করেই একতরফাভাবে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য। তা বেআইনি বলেই গণ্য় করছে রাজ্য। চিঠিতে কড়া বার্তা উচ্চশিক্ষা দফতরের। এনিয়ে রাজভবনের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


সংঘাত আরও জোরাল: বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত কার্যত বেনজির জায়গায় পৌঁছে গেছে। শিক্ষা দফতরের আর্জি খারিজ করে আগেই রাজ্যের ৮টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ে নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একই সঙ্গে সাপ্তাহিক রিপোর্ট দিয়েছেন এমন ৩ জন উপাচার্যের মেয়াদও বৃদ্ধি করেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। রাজভবনের বিবৃতির পরেই ট্যুইট করে এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নবনিযুক্ত উপাচার্যদের নিয়োগ প্রত্যাখ্যানের আবেদনও করেন তিনি। কিন্তু সংঘাতের এই মোড়ে পৌঁছে গিয়েও, রাজ্যপাল যে নিজের অবস্থানে অনড় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই বলেছিলেন, “রাজভবনের দাবি অসত্য, কোনও আলোচনা হয়নি। যারা আইন বহির্ভূত নির্দেশ মানেনি তাদের অযোগ্য বলছেন রাজ্যপাল। আমরা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। বিধানসভাকে অমান্য করতে চাইছে রাজভবন। স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন নিয়ন্ত্রণ করবে। গোষ্ঠীকোন্দলকে অনুমোদন করছে।’’   


রাজভবন সূত্রে বিবৃতি জারি করে বলা হয়,শিক্ষামন্ত্রী নিয়োগ প্রত্যাখ্যানের আবেদন জানালেও ১১ জন উপাচার্যই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। যদিও, দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায়, ইতিমধ্যেই নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, আরও ২-১ জন উপাচার্য নিয়োগ প্রত্যাখ্যানের পথে। এরই মধ্যে, ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্য, যাঁদের পুনরায় নিয়োগ করা হয়নি, তাঁরা রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই আবহে এবার সংশ্লিষ্ট উপাচার্যদের বেতন ও আর্থিক সুবিধা বন্ধ করল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রেজিস্ট্রারদের চিঠি পাঠিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর।


ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের (Governor C V Anand Bose) সিদ্ধান্তের পাল্টা জনস্বার্থ মামলা রাজ্যের (West Bengal)। রাজ্যপালের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা। 'রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের এক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের। মামলায় পার্টি করা হচ্ছে আচার্য তথা রাজ্যপালকে। মামলায় পার্টি করা হয়েছে রাজ্যকেও। আগামী সোমবার শুনানির সম্ভবনা।   


আরও পড়ুন: Food Tips: পাতে কোন পেয়ারা? কাঁচা না কি পাকা? কোনটায় বেশি উপকার?