কলকাতা: সকালে-দুপুরে কিংবা বিকেলে। বছরের বেশিরভাগ সময়েই সহজলভ্য ফল এটি। শিশু থেকে বয়স্ক সকলের জন্য়ই অত্যন্ত উপকারী ফল পেয়ারা। সুস্বাদু তো বটেই। পুষ্টির দিক থেকেও অত্যন্ত ভাল পেয়ারা। ভিটামিন সি থেকে শুরু করে ফাইবার। সবই রয়েছে এই ফলটিতে। হালকা খিদে পেলে কিংবা সকালে ব্রেকফাস্টের পর যেকোনও সময় খাওয়া যায় এই পেয়ারা। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন কমলার থেকেও বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে পেয়ারায়। 


পাকা পেয়ারা না কি কাঁচা পেয়ারা?
কিন্তু সবার মনেই একটা প্রশ্ন প্রায়শই উঠে আসে। পাকা পেয়ারা নাকি কাঁচা পেয়ারা। কোনটা বেশি পুষ্টিকর। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলে থাকেন, দুটোই পুষ্টিকর। অনেকসময়েই কাঁচা পেয়ারা খেতে পারেন না বয়স্ক ব্যক্তিরা। সেক্ষেত্রে পাকা পেয়ারা তাঁদের জন্য হজমে সুবিধা হবে। পাকা পেয়ারা হজমে সুবিধা হয়। দাঁতে সমস্যা থাকলে বা দাঁত নড়বড়ে হলে পাকা পেয়ারা বেশি ভাল। কাঁচা পেয়ারা বা ডাসা পেয়ারা অনেকসময়েই হজম করতেও বেশি সময় লাগে। 


ভিটামিন সি-এ ভরপুর:
পেয়ারা ভিটামিন সি-এ (Vitamin C) ভরপুর। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন আপেলের থেকেও বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে পেয়ারায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 


রয়েছে ভিটামিন এ:
পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন এ-ও (Vitamin A)। চোখের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ভিটামিন এ। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চোখের সামগ্রিক কাজ কিছুটা হলেও কমতে থাকে। তা ঠেকাতে প্রয়োজন ভিটামিন এ।


রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ:
পেয়ারায় থাকা পুষ্টিগুণ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাঁদের ডায়েটে পেয়ারা থাকা উচিত, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে। 


হৃদযন্ত্রের জন্য ভাল:
স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে পেয়ারায়। ডায়েটারি ফাইবার ও পটাশিয়ামের মাত্রা ভাল পরিমাণে থাকায় কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য় করে। যা হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে।


অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর:
পেয়ারায়, বিশেষ করে পাকা পেয়ারা অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে (Anti oxidants) ভরপুর। যা দেহ থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
 
গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে (glycemic index) পেয়ারা অনেক নীচের দিকে থাকে। পাশাপাশি পেয়ারায় ফাইবারের (Fibre) পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তার ফলে ডায়াবেটিস (Diabetes) নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।

 

আরও পড়ুন: 'ভেবেছি যত পারি গাছ রেখে যাব...', পরিবেশ বাঁচাতে গাছ পোঁতাই নেশা শ্যামলের