কলকাতা: ঋণ নিয়ে রাজ্যকে নিশানা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরবিআইয়ের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে রাজ্য। টুইট করে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কী অভিযোগ শুভেন্দুর:
টুইটে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, 'দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ঋণ নেওয়ার ঊর্ধ্বসীমা পার করে ফেলেছে রাজ্য। রাজ্যের ঘাড়ে ঋণের বোঝা অন্তত ৬ লক্ষ কোটি টাকা।' এই পরিস্থিতিতে রাজ্যকে আর ধার না দিতে আবেদন করেছেন শুভেন্দু। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে এমনটাই আবেদন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে আবেদন:
তিনি বলেছেন, 'পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের কাছে ধার চেয়েছে রাজ্য। সেই টাকায় কর্মীদের বেতন ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান দেওয়া হবে। যাদের মধ্যে অনেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়ার উপযুক্ত নয়। রাজ্যকে ঋণ দিলে কেন্দ্রের টাকার অপব্যবহার হবে। রাজ্যকে ঋণ না দিতে আরবিআইকে পরামর্শ দিন। রাজ্যকে নিজেদের আয় বাড়ানোর পরামর্শ দিন।' কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে অনুরোধ শুভেন্দু অধিকারীর।
বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তার ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে রাজ্যের নানা উন্নয়নমূলক কাজকর্ম। বারবার এই অভিযোগে সরব হয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষাপটেই এবার ট্যুইটে বিস্ফোরক দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুর দাবি:
এই টাকা রাজ্য সরকার পরিকাঠামো উন্নয়নের কথা বলে চাইলেও, আসলে এই টাকায় কর্মীদের বেতন ও লক্ষ্মীর ভান্ডারের খয়রাতি করা হবে। এটা বলাই বাহুল্য যে, স্থানীয় প্রশাসনে অনেক ভুয়া কর্মী রয়েছেন এবং লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধাভোগীদের বেশিরভাগই উপযুক্ত নন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'শুভেন্দু যা বলেছেন বাস্তব, রাজ্যবাসীর জন্য আতঙ্কের।' মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'রাজ্যের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। অন্যান্য রাজ্যের বিরোধীদল ও শাসক দল সমন্বয় রেখে কাজ করে। কিভাবে রাজ্য উপর দিকে উঠবে তার জন্য বিরোধীদল সাহায্য করে। বিদ্বেষ মূলক কথা বলে এবং অসম্মান জনিত কথা বলে রাজ্যের সম্মানহানি চেষ্টা করছেন উনি।' তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'বাংলা বিদ্বেষী, বাঙালি বিদ্বেষী, টাকা নিয়ে ধরা পড়ে জেল খাটার ভয়ে রাজনৈতিক জন্মদাত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিঠে ছুরি মেরে বিজেপিতে গিয়েছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগেও বিজেপি নেতারা বলে এসেছেন বাংলা যাতে টাকা না পায়।' শান্তনু সেনের দাবি, কেন্দ্রের কাছে বাংলার প্রচুর টাকা পাওনা রয়েছে। সেগুলি যাতে না দেওয়া হয় সেটাই বারবার দাবি করেছেন বাংলার বিজেপি নেতারা।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্তরা মূলত গ্রামেই থাকেন। এই অবস্থায়, ঋণ-তরজা নতুন মাত্রা যোগ করল।