রঞ্জিত হালদার, সোনারপুর: ফের আক্রান্ত শৈশব। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর। ফের দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের শিকার শৈশব। বোমার আঘাতে জখম ৫ নাবালক।  


নরেন্দ্রপুরের দাসপাড়ায় দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় জখম হয়েছে ৫ নাবালক। কিন্তু হামলার শিকার হল নাবালকরা? স্থানীয়দের দাবি, দুষ্কৃতীরা বলার পরেও মাঠ না ছাড়ায় ছোড়া হয় বোমা। পরপর দুটি বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা, দাবি স্থানীয়দের। বোমার আঘাতে আহত নাবালকদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

কাঁকিনাড়ার ঘটনায় গ্রেফতার:
উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ায় বোমা ফেটে ৭ বছরের শিশু মৃত্যুর ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বোমা মজুতের অভিযোগে বিস্ফোরণের তিন দিনের মাথায় শিবা চৌধুরী নামে ভাটপাড়ার এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার সকালে কাঁকিনাড়া স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধারে বোমা ফেটে মৃত্যু হয় নিখিল পাসোয়ানের। তার সঙ্গীর হাত উড়ে যায়। বুধবার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে ভাটপাড়া থানার পুলিশ।


উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ায় বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে ৭ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে কদিন আগেই। জখম হয়েছে ১০ বছরের এক বালক। সে চিকিৎসাধীন। সকাল ৭টা নাগাদ কাঁকিনাড়া স্টেশনের কাছে এই ঘটনা ঘটে। তারপরে আসরে নামে পুলিশ। প্রথমে উদ্ধার হয় একটি তাজা বোমা। ঘটনাস্থলে যায় নৈহাটি জিআরপি ও ভাটপাড়া থানার পুলিশ। যায় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডও। দুষ্কৃতীরা রেললাইনের ধারে বোমা মজুত করেছিল কি না, খতিয়ে দেখা হয়। এর খানিক্ষণ পর উদ্ধার হয় আরও একটি বোমা, ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। মাটি খুঁড়ে মজুত বোমার তল্লাশি চালানো হয়।  ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়

বিরোধীদের তোপ:
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'রাজ্যটা দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। শাসক দলের ছাতার তলায় রয়েছে। যে দল এনআইএ-কে সমালোচনা করছে। প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করছে। সেই দলের শাসনেই এমন ঘটনা ঘটছে। সর্বত্র আগ্নেয়াস্ত্র মজুত হয়েছে। উপদ্রুত অঞ্চলগুলির মতো হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকা।'
সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ির অভিযোগ, 'গোটা রাজ্য চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের নেতারাই এই রাজ্যের মন্ত্রী। এখন গোটা রাজ্য বোমা, বন্দুক, পিস্তলের মজুতখানা হয়ে উঠেছে। যতদিন এরা থাকবে ততদিন এমন চলবে।'


তৃণমূলের বক্তব্য়:
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'খুব অন্যায় হচ্ছে। আমার মনে হয় দ্রুত পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে এগুলো একেবারে বন্ধ হয়। দুষ্কৃতীদের রাস্তায় নয় জেলের ভিতরে রাখতে হবে। হঠাৎ বোমা-বন্দুক কেন বাড়ছে, এটার পিছনে কী আছে, সেটাও দেখতে হবে।' 


আরও পড়ুন: যে কোনও শর্তে জামিনের আবেদন মানিক ভট্টাচার্যর