সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, হাওড়া: হাওড়ায় জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে ধৃতকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আনিরুদ্দিন আনসারি কয়েকমাস আগে ভোপালে গ্রেফতার হওয়া চার জেএমবি জঙ্গিকে একসময় হাওড়ায় নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেয়। ওই চারজন ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে আসে। মাসদুয়েক আগে ওই জঙ্গিরা ফের আনিরুদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে রাজ্য এসটিএফের তরফে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ওই চার জঙ্গিকেও জেরা করতে চায় রাজ্য এসটিএফ। পুলিশের দাবি, এই রাজ্য ছাড়াও অসমে জেএমবি জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আনিরুদ্দিনের।তার কাছ থেকে বেশ কিছু পরিচয়পত্র মিলেছে। সেগুলিও সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গিদের বলে পুলিশের অনুমান। 


কদিন আগে ভোপালে ধৃত ৪ জন জেএমবি জঙ্গিকে নিজ এলাকায় আশ্রয় দিয়েছিল হাওড়া থেকে ধৃত জেএমবি লিঙ্কম্যান আনিরুদ্দিন। বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার আগে তাদের এরাজ্যেই আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে আনিরুদ্দিন। কয়েক মাস আগে মধ্যপ্রদেশ থেকে থেকে আরও একবার এরাজ্যে আসে ভোপালে ধৃত তিন জেএমবি জঙ্গি। তাঁদেরকে নিজ এলাকায় আশ্রয় দিয়েছিল আনিরুদ্দিন। এই বিষয়ে মধ্যপ্রদেশ এসটিএফের সঙ্গে কথা বলে ঐ তিনজনকে জেরা করতে চলেছেন রাজ্য এসটিএফের গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি আসামে জেএমবি সংগঠন তৈরীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আনিরুদদিনের। মূলত ওপার বাংলা থেকে আসা জেএমবি জঙ্গিদের হাওড়া সহ বেশ কয়েকটি জেলায় আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিত সে। সরাসরি বাংলাদেশ থেকে এই আশ্রয়ের নির্দেশ আসত তার কাছে বলে জেনেছেন রাজ্য এসটিএফের গোয়েন্দারা। সেই নির্দেশগুলি জেএমবি-র শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে আসত বলে জেনেছে এসটিএফ।


ভোপালে গ্রেফতার হওয়া ৪ জেএমপি জঙ্গিকে আশ্রয় দিয়েছিল অনিরুদ্দিন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে প্রথমে উত্তরপ্রদেশ তারপর মধ্যপ্রদেশের ভোপালে যায় ওই ৪ জন মাস দুয়েক আগে এরা আরও একবার হাওড়াতে এসেছিল।


এই ব্যাপারে মধ্যপ্রদেশ ats এর সঙ্গে কথা বলে ওই চারজনকে জেরা করতে চায় stf.


আসমে jmb সংগঠন এর সঙ্গেও যুক্ত অনিরুদ্দিন.