কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: ক্লাস শুরু হলেও, ১ মাস ধরে বন্ধ প্রেসিডেন্সির (Presidency University) হিন্দু হস্টেল (Hindu Hostel) । দরজা ভেঙে হস্টেলের দখল নিল পড়ুয়ারা। এব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি কর্তৃপক্ষের।


রাজ্যের অন্যান্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই এক মাস আগে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Presidency University) শুরু হয়েছে পঠনপাঠন। কিন্তু হস্টেল খুলছিল না। এই অভিযোগ তুলে কার্যত হস্টেলের দখল নিল পড়ুয়ারা। গতকাল সন্ধের পর দেখা যায়, পড়ুয়ারা দরজা ভেঙে কার্যত দখল করে নিয়েছে হিন্দু হস্টেল। হস্টেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক রক্ষী বলেন, ওঁরা জোরে দরজা ধাক্কা দিয়েছে, দরজা ভেঙে গিয়েছে। যাতে কারোর বিপদ না হয়, দরজা গায়ে না পড়ে তাই বাধ্য হয়ে নিরাপত্তারক্ষী খুলে দিয়েছে। এদিন দেখা যায় হস্টেল সংলগ্ন মাঠে বসে পড়ুয়ারা কেউ আড্ডা দিচ্ছেন, কেউ খেলছেন। সল্টলেকের হস্টেল এবং হিন্দু হস্টেল খোলার জন্য আন্দোলন করছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু সেই আন্দোলনে কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয়নি। 


২০২০ সালে করোনার (Corona) ধাক্কায় বন্ধ হয়েছিল হস্টেলের দরজা। এদিন দেখা যায়,পড়ুয়ারা নিজেদের ঘরের তালা খুলে ভেতরে ঢোকে। এক পড়ুয়ার কথায়, "আমরা ২৮ নম্বর দিন ডিন স্যারকে ঘেরাও করি। উনি ২৪ ঘণ্টা ঘেরাও থাকার পরে আমরা ডিও স্যারকেও ঘেরাও করি। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে কোনওভাবে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না। তাঁরা কোনওরকম আলোচনায় আসছে না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিই সবাই মিলে হস্টেল দখল নেব। আমরা এখানেই থাকব।'' প্রেসিডেন্সির হিন্দু হস্টেল বয়েজ হস্টেল। তবে এদিন ছাত্রদের হস্টেল দখল পর্বে দেখা যায় ছাত্রীদের। এক ছাত্রীর কথায়, এটা সংঘবদ্ধ আন্দোলন, হস্টেল ফিরে পাওয়ার জন্য। 


অন্যদিকে, পড়ুয়া বিক্ষোভের মধ্যেই বিশ্বভারতীতে ইস্তফা দিলেন ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে ৩০ ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত হন পদত্যাগী রেজিস্ট্রার, ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক সহ কয়েকজন অধ্যাপক। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, পরীক্ষা বয়কট চলছে, চলবে। 


আরও পড়ুন: HS Examination: পিছোচ্ছে না উপনির্বাচনের দিন, কাল উচ্চমাধ্যমিকের নতুন নির্ঘণ্ট প্রকাশের সম্ভাবনা