সন্দীপ সরকার, কলকাতা : আরজি কর কাণ্ডের সময় সিস্টেমের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন শান্তনু সেন। সরব হয়েছিলেন আর জি কর মেডিক্যালসের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়েও। স্বাস্থ্য প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে খুব স্পষ্ট ছিল তার বিরোধিতা। তারপর থেকেই দলে কিছুটা এক পেশে হয়ে পড়েন শান্তনু। সম্প্রতি নাম না করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তনুর বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করেন। এমনকী সিবিআই তদন্তও চেয়েছিলেন তিনি। এরপর শান্তনুর নিরাপত্তা সরানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
বৃহস্পতিবার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশ কর্মীকে। আর জি কর-কাণ্ডে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন শান্তনু। এর আগে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে সরকারি প্রতিনিধি শান্তনু সেনকে সরাতে স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি দেন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি তৃণমূলের বিধায়ক-চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়। পাল্টা স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি লেখেন শান্তনু। সেই আবহেই এবার শান্তনু সেনের নিরাপত্তা ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এই নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি শান্তনু সেন। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা , এই নিরাপত্তা প্রত্যাহারের পিছনে কারণ আরজি কর আবহে শান্তনুর অবস্থানই ।
গত মঙ্গলবারই নাম না করে, শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে CBI তদন্তের দাবি তুলেছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় , নাম না করেই প্রশ্ন তোলেন, 'কেউ কেউ পদে ছিল IMA-তে। তারাও তো আর জি করের মধ্য়ে আগে চার্জে ছিল। তাদের বিরুদ্ধেও কেন CBI তদন্ত হবে না?' আর তার পর ঠিক সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই শান্তনুর নিরাপত্তা তুলে নিল রাজ্য ।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হয়ে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন। মুখ খোলার পরই শান্তনু সেনকে দলীয় মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা পদ থেকেও অপসারণ করা হয় তাঁকে। তারপর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে তাঁর সদস্য পদ খারিজের জন্য স্বাস্থ্য ভবনকে চিঠি দেন সংস্থার সভাপতি ও শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। আর এসবের মধ্যেই এবার শান্তনুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশ কর্মীকে সরিয়ে নেওয়া হবে বৃহস্পতিবার থেকে, জানাল রাজ্য।
আরও পড়ুন : চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির পর হিন্দুদের প্রতিবাদে উত্তাল ঢাকা, চট্টগ্রাম, সেখানেও 'আক্রমণ অতর্কিতে'