কলকাতা: নিউটাউনে (Newtown) চিকিৎসক পড়ুয়া খুনের (Death)অভিযোগ। এক রেস্তোরাঁ মালিকের বাড়ির খাটের নীচে থাকা সুটকেস থেকে উদ্ধার হল মৃতদেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, পড়ুয়ার মুখে প্লাস্টিক জড়িয়ে সেলোটেপ দিয়ে বাঁধা ছিল। ঘটনায় গৌতম সিংহ নামে ওই রেস্তোরাঁর মালিক ও তাঁর বনধু পাপ্পু ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।           


পড়ুয়া খুনের অভিযোগ: পুলিশ সূত্রে খবর, তরুলিয়াতে বেশ কয়েক মাস ধরে ভাড়া থাকতেন সাজিদ হোসেন নামে মালদার ওই যুবক। NIIT-এর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, ৪ দিন নিখোঁজ ছিলেন সাজিদ। গতকাল বিকেলে নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার।অভিযোগ, এরপর পরিবারের কাছে মুখে সেলোটেপ বাঁধা অবস্থায় সাজিদের ছবি পাঠিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। যদিও পরে সেই ছবি ডিলিট করে দেওয়া হয়।


পুলিশের অনুমান, মুক্তিপণ চাওয়ার আগেই পড়ুয়াকে খুন করা হয়। প্রথমে মুখে প্লাস্টিক জড়িয়ে সেলোটেপ বাঁধা হয়, তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে বালিশ চাপা দেওয়া হয়, বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গৌতমের রেস্তোরাঁয় মাঝেমধ্যেই যেতেন সাজিদ। পুলিশ সূত্রে খবর, পড়ুয়ার হাতে আইফোন দেখে, তাঁর বাবা কী করেন জানতে চেয়েছিলেন ধৃত গৌতম।                    


দিনকয়েক আগে চুরি করতে এসে বাধা পেয়ে বৃদ্ধাকে খুন করে চম্পট দেয় চোর। বাড়িতে একাই থাকতেন ওই বৃদ্ধা। কর্মসূত্রে বৃদ্ধার ছেলে থাকেন পুনেতে, মেয়ের শ্বশুরবাড়ি বেলঘরিয়ায়। চলতি সপ্তাহের সোমবার সারাদিন কোনও যোগাযোগ করতে না পেরে তাঁর মেয়ে পাশের বাড়ির লোককে খবর দিলে, তাঁরা এসে দেখেন বাইরে খবরের কাগজ পড়ে আছে এবং ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ। পুলিশে খবর দিলে পুলিশ বাড়ির পিছন দিক দিয়ে ভিতরে ঢোকে। পুলিশ সূত্রে খবর মেলে দরজা ভাঙা ছিল। ভেতরে লুটিয়ে পড়ে ছিলেন ওই বৃদ্ধা। ঘরের ভেতর লন্ডভন্ড থাকায় ঘটনাটি স্পষ্ট হয় । প্রায় ২৪ ঘণ্টা আগে খুন হওয়ার পর বৃদ্ধা ঘরের মধ্যে পড়েছিলেন বলে অনুমান। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে বৃদ্ধা একাই থাকতেন। ঘটনা দুজনকে আটক করেছিল পুলিশ।


আরও পড়ুন: Sikkim Flood: সিকিমে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়, নিখোঁজ বাংলার দুই পরিবারের ১৩ জন