সমীরণ পাল, সোদপুর (উত্তর ২৪ পরগনা) : অবসাদের জেরেই কি চরম সিদ্ধান্ত? কিন্তু কী এমন ঘটল, যার জেরে, ২২ বছরের ঝকঝকে জীবনে ইতি টানলেন ডাক্তারি পড়ুয়া? ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের MBBS ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রীর মৃত্যুর খবরে হতবাক তাঁর আত্মীয় পরিজনরা।
ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল। অত্যন্ত মেধাবী। বই অন্ত প্রাণ। MBBS-এর পাঠ শেষের পথে। কিন্তু, কী এমন হল যে, জীবনে সাফল্যের সিঁড়িতে ওঠার সময়ই এই পরিণতি? ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে পড়তে পড়তে তৈরি হয়েছে রহস্য। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন তরুণী। বেনিয়াপুকুর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।
সোমবার সন্ধেয় হস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া প্রদীপ্তা দাসের দেহ। বছর ২২-এর এই ঝকঝকে তরুণীর মৃত্যুতে হতবাক তাঁর আত্মীয় প্রতিবেশীরা। MBBS ফাইনাল ইয়ারের এই ছাত্রীর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে। বাবা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। মেয়েকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। পরিবার সূত্রে খবর, বিদেশে ডাক্তারি পড়ানোরও ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সব স্বপ্ন চুরমার।
পরিবার সূত্রে খবর, শনি-রবি সহ ছুটির দিনগুলোয় বাড়ি চলে আসতেন প্রদীপ্তা। সোমবার আবার কলেজ যেতেন। এবারও তাই গেছিলেন। সোমবার দুপুরে মায়ের সঙ্গে কথাও হয়, তারপরই সন্ধেয় আসে ভয়ঙ্কর খবর।
প্রদীপ্তা দাস
শোক বিহ্বল পরিবার
মেয়ের এভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না পরিবার। মৃতার আত্মীয় বলেছেন, 'ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। মনে হয় অতিরিক্ত চাপ পড়েছিল। কীভাবে যে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছি না। কাল সকালে বাড়ি থেকে গেছে।'
পরিবার সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই, মানসিক অবসাদের কথা বলছিলেন তরুণী। তবে কী মৃত্যুর কারণ ডিপ্রেসন? সেই কারণেই কি চরম পরিণতি বেছে নিলেন এই ডাক্তারি পড়ুয়া? স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, 'মেয়েটি সম্পূর্ণ আলাদা। নিজের মতো থাকে। সম্ভবত ৬ মাস বাকি ছিল, তারপরই ডাক্তার হয়ে যেত। মানসিক অবসাদে ভুগছিল বোঝা যেত না।'