কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : শিক্ষককে পুলিশের লাথি মারার প্রতিবাদে চারদিকে নিন্দার ঝড়। এই আবহে কবিতা লিখে কদিন আগের যাদবপুরের ওমপ্রকাশ মিশ্রকে লাথি মারার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন কবি সুবোধ সরকার। বললেন, যাদবপুরে একজন মাস্টারমশাইকে পিছন থেকে কোমরে লাথি মারা, এটা ভাবা যায় না। সেই সঙ্গে পয়লা মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ঘটনারও ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। তৃণমূলও ওমপ্রকাশ মিশ্রকে লাথি মারার ভিডিও প্রকাশ করে, দুই লাথির কেন এক সারিতে রাখা হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এই প্রেক্ষাপটে অনেকে আবার, ২০১৯ সালে বিধানসভা উপনির্বাচনের সময়, তৎকালীন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে এক তৃণমূলকর্মীর লাথি মারার প্রসঙ্গ টেনে আনছেন।
পুলিশের আচরণের জেরে যখন রাজ্য় সরকার-তৃণমূল চারদিক থেকে আক্রমণের মুখে তখন, তখন ফেসবুকে 'লাথি' নামে একটি কবিতা লিখে বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন শাসকপন্থী বিদ্বজ্জনন, কবি কবি সুবোধ সরকার। কী সেই কবিতা ?
"বেরিয়ে আয়, কসবা নিয়ে/ কবিতা লেখ শালা, / ভদ্রলোক হলে।"/ লিখব,তার আগে তাহলে/ যাদবপুর হোক।/ যাদবপুরে হয়নি জ্বালা, কসবাতেই জ্বালা।/ যাদবপুর ভিয়েতনাম। / ও ফেসবুক সেন্ট হেলেনা/ সেখানে অতি রব উঠেছে /"কসবা নিয়ে কবিতা লেখ শালা"।/ যাদবপুরে কোমরে মারা
লাথিটা তবে লাত্থি নয়?/ কি করে তবে কসবাতেই / সেই লাথিটা লাত্থি হয়?/ কর্মসূচি ঠিক হয়েছে / "আরও আগুন জ্বালা।"
কবির ব্যাখ্যা, 'যাদবপুর এখানে একটা প্রতীক। একজন ছাত্রই তো। তিনি একজন নামী অধ্যাপকের পিছনে, কোমরে লাথি মারছেন। এটা কল্পনা করা যায় না।' এখানেই শেষ নয়, কবি সুবোধ মনে করছেন..'এটা সত্যি যে, পুলিশকে কোনওরকম প্রোভোকেশন না করলে...এতদসত্ত্বেও, আমি বলব যে পুলিশ লাথিটা মেরেছে, এটা দেখতে খুব খারাপ লেগেছে।' যাদবপুরের লাথি নাকি কসবার লাথি, কোনটা বেশি অপরাধ? এই প্রশ্ন করা হতেই সুবোধের উত্তর, 'যাদবপুরে একজন মাস্টারমশাইকে পিছন থেকে কোমরে লাথি মারা, এটা ভাবা যায় না। এবং এটা সবাই দেখলেন।'
কবি সুবোধ সরকারের এই ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন চাকরিহারারা। তাঁদের কটাক্ষ ' উনি রাজ্য সরকারের একজন প্রতিনিধি, উনি ভাতা পান, অনেক কিছু পান, কিন্তু আমরা নিজের যোগ্য়তায় এই জায়গায় এসেছি। '
সবমিলিয়ে পুলিশের লাথির ঘটনাকে কেন্দের করেও রাজনীতিতে আমরা-ওরা!