সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : গোয়ার হোটেলে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিবরণ শুনে শিরদাড়ায় শীতল স্রোত বয়ে গিয়েছে সারা দেশের। 'নিজের সন্তানকে খুন করে, ব্যাগে দেহ নিয়ে হোটেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার ছক' বানচাল করে অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে পুত্র-'ঘাতক মা'। সেই  সূচনা শেঠের সঙ্গে কলকাতার যোগ খুঁজে বের করল এবিপি আনন্দ। দক্ষিণেশ্বরে সূচনা শেঠের মামার বাড়ির খোঁজ পাওয়া গেল। তবে ওই পরিবারের কেউই এই বিষয়ে মুখ খুলতে চান না।


কে এই সূচনা ?


বুধবার সারা দেশের নজর ছিল এই খবরে। ঝকঝকে চেহারা। উচ্চবিত্ত। প্রোফাইলও চকচকে। বেঙ্গালুরুতে স্টার্ট আপের সিইও-র পদ সামলানো এক মহিলা শিরোনামে উঠে আসেন নিজের ৪ বছরের শিশুকে হত্যা করে। সূচনার ব্যাকগ্রাউন্ডও তাক লাগানো। চেন্নাইতে বেড়ে উঠেছেন। কলকাতা শহরে করেছেন হায়ার স্টাডি। পরবর্তীতে এআই ল্যাবের সিইও হন সূচনা শেঠ । আগাগোড়াই ছিলেন মেধাবী পড়ুয়া। জানা গেল, সূচনার স্বামী ভেঙ্কট রামনও পেশায় এআই ডেভেলপার। দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর এই টানাপোড়েনের বলি হয়েছে তার সন্তান।  পুলিশ সূত্রে খবর, সন্তানের সঙ্গে স্বামীর দেখা করা আটকাতেই নাকি এই জঘন্য কাজটি করেছেন তিনি ! 


ঝকঝকে কেরিয়ার


মহিলার linkedin প্রোফাইলের তথ্য ঠিক হলে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দেওয়া কেরিয়ার তাঁর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর  ডিগ্রী রয়েছে তাঁর। প্রথম শ্রেণিতে M.Sc. পাশ করেন তিনি। অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের সঙ্গে প্লাজমা ফিজিক্সেও বিশেষজ্ঞ তিনি। এছাড়া তিনি সংস্কৃতে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা করেছেন । তার লিঙ্কডইন প্রোফাইল অনুসারে এই কোর্সে তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেছেন।তিনি বিএসসি পাশ করেছিলেন কলকাতার ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি কলেজ থেকে। 


কীভাবে খুন ছেলেকে


একজন পুলিশ কর্মকর্তা পিটিআইকে জানিয়েছেন, খালি কাশির সিরাপের বোতল পাওয়া গিয়েছে। তার থেকে ধারণা, সূচনা তার ছেলেকে ওষুধের হেভি ডোজ দিয়ে থাকতে পারে এবং এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যা। সন্দেহ করা হচ্ছে, মহিলা তার সন্তানকে আগে হেভি ডোজের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে তারপর তাকে কাপড় বা বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ।