সুনীত হালদার, হাওড়া: মুণ্ডেশ্বরী নদীতে (Mundeshwari River) হঠাৎ জল বেড়ে (water level) বিপত্তি। জলের তোড়ে ভাঙল তিনটি বাঁশের সেতু (bamboo bridge)। ডিভিসি (DVC) থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে হাওড়ার (howrah) আমতায় (Amta) জয়পুর থানার কুলিয়া ঘাটে ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। এর ফলে আপাতত আমতার দ্বীপ অঞ্চল ভাটোরার সাথে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ (contact) কার্যত বিচ্ছিন্ন। সমস্যায় পড়েছেন ভাটোরা  দ্বীপাঞ্চলের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।


এখন যা পরিস্থিতি...
শুক্রবার সকালের ওই বিপর্যয়ের জেরে এখন ভাটোরার বাসিন্দাদের ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে নৌকো। স্রোতের মধ্যে এই নৌকা করেই চলছে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত। প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপর কুলিয়া,গায়েন পাড়া ও টাকিপাড়া বাঁশের সেতু ভেঙ্গে যায়। তা ছাড়াও হুগলি জেলায় একটি বাঁশের সেতু একই ভাবে ভেঙে গিয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন হাজার হাজার গ্রামবাসী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল। পরে জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষের পাশে থাকার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্রুত সেতু মেরামতের আশ্বাসও দেন বিধায়ক। স্থানীয়দের একাংশ তথা জেলা প্রশাসনের একাংশের অবশ্য দাবি, ডিভিসি থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে হাওড়ার আমতায় মুণ্ডেশ্বরী নদীতে হঠাৎ জল বেড়ে যায়। তার পরই বিপত্তি। প্রসঙ্গত, দশমীর রাতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় মাল নদীতে হড়পা বানের জেরে বড়সড় বিপর্যয়ের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেননি রাজ্যের মানুষ। 


কী জানা গেল...
প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে উপচে পড়ছে নদীর পাড়। সেই সময়ই বিপত্তি। আচমকা ধেয়ে এল হড়পা বান। তার পর মুহূর্ত মাত্র, চোখের সামনে তলিয়ে গেলেন বেশ কয়েক জন। দশমীর রাতে জলপাইগুড়ির মাল নদীতে বিসর্জনের সময়কার এই ছবি এবং ভিডিও উঠে আসায় শিউড়ে উঠছেন সকলে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮। উদ্ধারকাজে প্রাণপণ চেষ্টা করেছে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তবে গোটা ঘটনার পর পুলিশি ব্যর্থতাকে যেমন দায়ী করা হচ্ছে, তেমনই প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। প্রশাসনের তরফে যদিও জানানো হয়েছে, লাগাতার মাইকিং করা হয়েছিল। সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল সকলকে। তা সত্ত্বেও নির্দেশ মানেননি কেউ কেউ। তাতেই এই বিপত্তি। 


আরও পড়ুন:কোনও দলই ১০০ শতাংশ সৎ নয়, দোষীরা শাস্তি পাবে, ফের বিস্ফোরক শোভনদেব