কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। তারমধ্যেই তৃণমূলের নিশানায় বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী। গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্য়ান্ড্রুজ কলেজে সুজনের স্ত্রীর চাকরির নথি নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাম আমলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। এবার সেই ঘটনায় মুখ খুললেন সুজন চক্রবর্তী।


সুজনের প্রশ্ন, তাঁর স্ত্রীর সার্ভিস রেকর্ড কীভাবে প্রকাশ্যে এল। 'সার্ভিস রেকর্ড প্রকাশ করলে পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশ করুন', দাবি সুজনের। তাঁর দাবি, তাঁর স্ত্রীর পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন। 'তৃণমূল দুর্নীতিতে ধরা পড়ে খড়কুটো ধরে বাঁচার চেষ্টা করছে। আর কত নামবে তৃণমূল', কটাক্ষ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর।


বৃহস্পতিবারই সিপিএম নেতার স্ত্রীর চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগে আক্রমণে নামে তৃণমূল কংগ্রেস। ট্যুইটে অভিযোগ করা হয়েছে, পরীক্ষা না দিয়েই দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি হয়েছে। পরীক্ষা না দিয়েই ৩৪ বছর চাকরি হয়েছে, সিপিএমের সীমাহীন ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগ। সুজনের স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর জয়েনিং লেটারের ছবি দিয়ে ট্যুইট তৃণমূলের। তারপরে সাংবাদিক বৈঠকে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার চিঠি, তাঁকে নেওয়ার জন্য বোর্ডের রেজোলিউশন, সব দেখান কুণাল ঘোষ। নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন করেন কুণাল। তাঁর তোপ, 'যাঁরা কাজ ছুড়ছে তারা কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়ছে। গোটা নথি শিক্ষামন্ত্রী মাননীয় ব্রাত্য বসুকে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের দাবি করা হয়েছে। সিপিএমের পদাধিকারীদের কোন আত্মীয় কোথায় চাকরি করেন তাঁরা আগে সেটা বলুন।'


কুণালের দাবি কী ছিল:
কুণালের আরও দাবি, 'শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সমস্ত বিষয় আমরা তদন্তের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। অয়নের বিরুদ্ধে তদন্ত ২০০২ থেকে শুরু হওয়া উচিত। এই জমানায় অন্যায় করলে, শাস্তি হোক, কিন্তু কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুঁড়বেন না। সিবিআই-ইডির তদন্তে বাম জমানাকেও যুক্ত করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তদন্তের জন্য অনুরোধ করব। কোথাও অন্যায় হলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে।'


কী বললেন ব্রাত্য:
ওই ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে সব নথি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। তা নিয়ে তদন্ত চাওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। ওই ঘটনায় এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'বাম জমানায় সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি পরীক্ষার ভিত্তিতে হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়। বিস্তারিত তদন্ত অবশ্যই দরকার। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে কিনা, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা হবে। তৃণমূল সরকার বাম আমলে নিয়োগের শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে বলেছে। সেই শ্বেতপত্রের ভিত্তিতে মামলা হলে আদালত নির্দেশ দিলে বিচার হতে পারে।'


আরও পড়ুন: লোকসভায় পাশ অর্থবিল, Debt Mutual Fund-এ কী বদল! আর কী কী?