ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী ও সৌরভ বন্দ্যোপাধ্য়ায়,  কলকাতা : শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Shantanu Banerjee) স্ত্রীর অংশীদারিত্বে থাকা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় (Real Estate Business) টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন 'কালীঘাটের কাকু'। ৪০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (SujanyKrishna Bhadra) ওরফে কালীঘাটের কাকু। 


একটা ইটও গাঁথা হয়নি। হোর্ডিং ছাড়া কোথাও কিচ্ছু নেই। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্ত্রীর অংশীদারিত্বে থাকা, D.I.P ডেভেলপার অ্যান্ড জেনারেল অর্ডার সাপ্লায়ার নামক সংস্থার বহুতল নির্মাণের কথা ছিল। আর সেখানেই বিনিয়োগ করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে আরেক অভিযুক্ত গোপাল দলপতি বর্ণিত কালীঘাটের কাকু, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্ত্রীর অংশীদারিত্বে থাকা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ 'কালীঘাটের কাকু'র। ডিআইপি ডেভলপারের ব্যালান্স শিটে দেখা যাচ্ছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বিনিয়োগ করেছিলেন ৪০ লক্ষ টাকা। সূত্রের খবর, ২০২০ সালে, D.I.P ডেভেলপার চন্দননগরে জিটি রোডের পাশে সত্যপীড়তলায় প্রায় ৬ কাঠা জমির উপর বহুতল নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়।
বহুতলের নক্সা দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, শুরু হয় বুকিংও। ৯৬ লক্ষ টাকার ব্যালান্স শিটে দেখা গেছে, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১০ লক্ষ টাকা ও শান্তনুর ছেলের নামে থাকা সংস্থা ইভান কনট্রেডকে ৪০ লাখ টাকা লোন দেওয়া হয়েছে।


D.I.P ডেভেলপার অ্যান্ড জেনারেল অর্ডার সাপ্লায়ারের প্রোমোটার ও অংশীদার ইন্দ্রনীল চৌধুরী বলেন, সুজয়কে দেখিনি সামনাসামনি। শান্তনু চেক এনে দিয়েছিলেন। ১ তলায় কমার্সিয়াল জায়গা কিনবে বলে অ্যাডভান্স ৪০ লক্ষ টাকা চেকে শান্তনুকে দেন সুজয়। শান্তনুকে ব্যক্তিগতভাবে ১০ লক্ষ এবং ইভান সংস্থাকে লোন, তথ্য ইডিকে দেওয়া হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদের দিন নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বলেছিলেন, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও কুন্তল ঘোষকে তিনি রাজনৈতিকভাবে চেনেন। এবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর সংস্থায় তাঁর বিনিয়োগের তথ্য সামনে এল। যা স্বীকারও করে নিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ওরফে কালীঘাটের কাকু। তিনি জানান, মানকুণ্ডুতে একটা বিল্ডিংয়েরর জন্য শান্তনু টাকা নিয়ে যান লকডাউনের আগে।


সূত্রের খবর, চুঁচুড়া, চন্দননগর, হাওড়ার মুন্সিরহাট-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় রিয়েল এস্টেটে টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্ত্রীর নামে। প্রশ্ন উঠেছে, এভাবেই কি নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে ? সেই শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের স্ত্রীর সংস্থায় কালীঘাটের কাকুর বিনিয়োগের তথ্য সামনে এল।


আরও পড়ুন ; খারিজ জামিনের আবেদন, ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে শান্তনু