কলকাতা: মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) মোবাইল ফোনে মিলেছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করে দাবি করল ED। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০১৮ সাল থেকে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন সুজয়কৃষ্ণ। যদিও এই সমস্ত দাবি অস্বীকার করেছেন সুজয়কৃষ্ণ। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ জানিয়েছে ED।


প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু- এই ত্রয়ীই যেন নিয়োগ দুর্নীতিচক্রের মূল ত্রিভুজ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, ইডির চার্জশিটে ছত্রে ছত্রে যেসব বিস্ফোরক অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে এমনটাই মনে করছেন অনেকে। এবার, মানিক ভট্টাচার্যের মোবাইল ফোনে মিলেছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। হাইকোর্টে এমনই দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০১৮ সাল থেকে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন সুজয়কৃষ্ণ। নিজের প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য তৎকালীন পর্ষদ সভাপতির দফতরে নিয়মিত যেতেন কালীঘাটের কাকু।

২০১৪-র টেট চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট মানিককে হোয়াটসঅ্যাপ করে পাঠাতেন সুজয়কৃষ্ণ।চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি, বিকেল ৫টা ৪৬ মিনিটে এক ব্যক্তিকে ফোন করে তাঁর মোবাইল থেকে অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট সংক্রান্ত নথি মুছে ফেলতে নির্দেশ দেন কালীঘাটের কাকু, আদালতে দাবি করে ED। যদিও এই সমস্ত দাবি অস্বীকার করেছেন সুজয়কৃষ্ণ। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ জানিয়েছে ED।

চলতি বছরই ১৭ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে গ্রেফতার করে ইডি। সম্প্রতি, চার্জশিট পেশ করে ইডি দাবি করে, ২০১২ এবং ২০১৪-র টেটের চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড-সহ একাধিক তথ্য মানিককে পৌঁছে দিয়েছিলেন এই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তাঁর পরামর্শেই টাকা পৌঁছে যেত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। প্রার্থী নির্বাচন ও নিয়োগের বিষয়ে কথা বলতে সরাসরি পর্ষদের অফিসেও যেতেন সুজয়কৃষ্ণ। চার্জশিটে ইডি আরও দাবি করে, ২০১৪-র টেটে পাস ও চাকরি পাইয়ে দিতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের দ্বারস্থ হন কুন্তল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে সেই বিষয়ে কুন্তল ঘোষকে আশ্বস্ত করেন কালীঘাটের কাকু। এরপর কালীঘাটের কাকুকে ৭০ লক্ষ টাকা এবং তাঁরই পরামর্শে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে ১০ লক্ষ টাকা দেন কুন্তল ঘোষ। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কোনওভাবে শিক্ষা দফতরের যুক্ত নন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গেও তাঁর কোনও যোগ নেই। এমনকি কোনও রাজনৈতিক পদেও তিনি নেই। কিন্তু এসবকিছু না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এত ক্ষমতাবান হয়ে উঠলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র? কীভাবে এতটা প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন কালীঘাটের কাকু।বর্তমানে তাঁর ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার।


আরও পড়ুন: Aadhaar Fraud: সরকারি ওয়েবসাইট থেকে বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি! আধার-প্রতারণায় বাড়ছে উদ্বেগ