কলকাতা: আধার-প্রতারণায় (Aadhaar fraud) উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটই। সেখান থেকেই বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করছে প্রতারকরা, দাবি পুলিশের। অন্যদিকে, আধার-প্রতারণাকাণ্ডে উত্তর দিনাজপুরের পাশাপাশি, এবার মিলল ভিনরাজ্যের যোগ। কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে প্রথম গ্রেফতার দুই। প্রতারণার শিকার বাগুইআটির এক বাসিন্দা।


উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট: আধার-প্রতারণায় আতঙ্ক বাড়াচ্ছে বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটই। পুলিশের দাবি, সেখান থেকেই বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করছে প্রতারকরা। আর সেই তথ্য কাজে লাগিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করে দিচ্ছে তারা। লাগছে না কোনও কার্ডের তথ্য, ওটিপি বা সিভিভি। প্রতারকরা এখন সাহায্য নিচ্ছে Aadhaar Enabled Payment System বা AEPS-এর। পুলিশ সূত্রে দাবি, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া কার্যত পরিণত হয়েছে আধার-প্রতারণার হাবে। কিন্তু সাধারণ মানুষের গোপন তথ্য প্রতারকদের হাতে যাচ্ছে কী করে?


পুলিশ সূত্রে খবর, সরকারি ওয়েবসাইটেই মিলছে আধারের তথ্য ও আঙুলের ছাপ। জমি-বাড়ি-সম্পত্তির রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত তথ্য সরকারি ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। পাশাপাশি, প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রাহকদের সুবিধার জন্য কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট রয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের। যেখানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে টাকা তোলা যায়। সেই সব কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট থেকেও ফিঙ্গার প্রিন্ট জোগাড় করছে প্রতারকরা। এই পরিস্থিতিতে, পাবলিক ডোমেনে থাকা তথ্য ও আধার নম্বর ‘মাস্কড’ করতে রাজ্যের অর্থ সচিবকে চিঠি দিয়েছে লালবাজার।


সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে এক নাবালক ও একটি ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের মালিক-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় প্রচুর মনিটর, ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার, ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ-সহ বেশ কিছু সরঞ্জাম। পুলিশের দাবি, চোপড়াজুড়ে প্রতারকরা জাল বিছিয়েছে। আধার-প্রতারণাকাণ্ডে উত্তর দিনাজপুরের পাশাপাশি, মিলেছে ভিনরাজ্যের যোগও।


ব্যাঙ্ক থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জনকে।  আধার প্রতারণাকাণ্ডে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে প্রথম গ্রেফতার। এবার ব্যাঙ্ক প্রতারণা শিকার হয়েছেন বাগুইআটির এক বাসিন্দা। শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ করেছেন - AEPSপদ্ধতি ব্যবহার করে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২৮ হাজার ৯০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়। তদন্তে নেমে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ও ইসলামপুর থেকে মোক্তার আলম ও রোশন আলি নামে ২ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের দাবি, বায়োমেট্রিক-প্রতারণার গোটা অপারেশন চলছে চোপড়া ও লাগোয়া বিহারের আরারিয়া থেকে। ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


আরও পড়ুন: North 24 Parganas Weather: কখনও মেঘ, কখনও রোদ্দুর, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি উত্তর ২৪ পরগনায়