কলকাতা: তলবের খবর নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। তবে সুজিত বসুর (Sujit Bose) দাবি হাজিরার কোনও নোটিসই নাকি পাননি তিনি। এ দিন সিবিআই (CBI) তলব প্রসঙ্গে দমকল মন্ত্রী বলেন, 'এখনও পর্যন্ত হাজিরা দেওয়ার জন্য সিবিআই-এর কোনও নোটিস পাইনি'। বুধবার রাখি বন্ধনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দমকলমন্ত্রী, সেখানেই একথা জানিয়েছেন তিনি। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দমকলমন্ত্রীকে ৩১ অগাস্ট তলব করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। 


সুজিত বসুকে তলব : গত ২৪ জুলাই পুর নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে তলব করেছে সিবিআই। এই প্রথমবার পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্য়ের কোনও মন্ত্রীকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ৩১ অগাস্ট তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় ডাকা হয়েছে বলেই খবর ছিল। এ প্রসঙ্গে  সুজিত বসু বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে কোনও যোগ নেই, জায়গামতো প্রমাণ করে দেব।


এই প্রথম রাজ্যের কোনও মন্ত্রীকে তলব: পুর নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম রাজ্যের কোনও মন্ত্রীকে তলব করেছে সিবিআই! ৩১ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয় বিধাননগরের তৃণমূল বিধায়ক ও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। আর, সেই সময়ের মধ্যেই অর্থাৎ ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমান দমকল মন্ত্রী ও বিধাননগরের তৃণমূল বিধায়ক সুজিত বসু।  


রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি স্কুলের মতো পুরসভার নিয়োগেও যে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ছড়িয়েছে, সেই তথ্য প্রথম উঠে আসে প্রোমোটার অয়ন শীলের অফিসে ইডি অভিযানের পর। ইডি সূত্রে দাবি, অয়ন শীলের অফিস থেকে অন্তত ৬০টি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি ও চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা উদ্ধার হয়। সেই সূত্র ধরেই গত ৭ জুন দক্ষিণবঙ্গের ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। তার মধ্যে ছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভাও। একদা যার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তৃণমূল নেতা সুজিত বসু। সিবিআই সূত্রের দাবি, সুজিত বসুকে নিজাম প্যালেসে তলব করে, ১৭ অগাস্ট বাড়িতে নোটিসও পাঠানো হয় বলেও সূত্রের দাবি। তবে বিষয়টি নিয়ে অন্য় কথাই শোনা গিয়েছে মন্ত্রীর মুখে।


সিবিআই সূত্রের দাবি, ধৃত অয়ন শীলের সংস্থা ABS ইনফোজোন কীভাবে পুর নিয়োগে টেন্ডার পেয়েছিল? তাতে কী ভূমিকা ছিল তৎকালীন পুরপ্রধান ও উপ-পুরপ্রধানের?এই সমস্ত বিষয়েই জানতে চাওয়া হতে পারে সুজিত বসুর কাছ থেকে। এরপর কী হবে? কতদূর গড়াবে জল? এখন সেটাই দেখার