উজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায়, আশাবুল হোসেন, কলকাতা : বাংলায় বিজেপির ( Bengal BJP ) আশানুরূপ ফল হয়নি। টার্গেটের বহু দূরেই তাদের থামিয়ে দিয়েছে জনতা। ফল নিয়ে ইতিমধ্যেই দলের মধ্য়ে থেকে ক্ষোভ সামনে এসেছে।অন্যদিকে বঙ্গে কংগ্রেসের ইন্দ্রপতন হয়েছে। এই নিয়েও বারবার বিজেপির তরফ থেকে ভেসে আসছে সহানুভূতিশীল মন্তব্য, যা পরোক্ষভাবে উসকে দিচ্ছে কিছু প্রশ্ন। অধীরের ( Adhir Chowdhury ) এই খারাপ সময়ে এই ধরনের বার্তা দিয়ে কি বিশেষ কোনও সমীকরণ কষতে চাইছে বিজেপি? BJP র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ( Sukanta Majumdar ) বৃহস্পতিবার বললেন, মুসলিম হলে জিতে যেত।
১৯৯৯ থেকে ২০১৯, পরপর পাঁচবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন অধীর চৌধুরী। সিপিএমের মধ্য়গগণে হোক কিংবা রাজ্য়ে তৃণমূলের ঝড় উঠুক বা দেশে মোদির হাওয়া, বহরমপুরে অধীরের রাজত্বে কেউ থাবা বসাতে পারেনি। কিন্তু এবার সংখ্য়ালঘু অধ্য়ুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায়, অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী করে, প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। আর তাঁর কাছেই এবার হেরে গেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন লোকসভার দলনেতা।
হারের পর অধীরের মুখে শোনা গেছিল সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের কথা। তিনি বলেছিলেন, 'এখানে একটা সাম্প্রদায়িক বিভাজন হয়েছে বুঝতেই পারছেন আপনারা। বিজেপি এত পরিমাণে ভোট পাওয়ার জন্য় বিপদটা আরও বাড়ল। অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ তো একটা হয়েছে বুঝতেই পারছেন। আমাদের মতো মানুষ যারা উদার এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি, তাদের জন্য় বিষয়টা জটিল হচ্ছে। এটুকু আমি বলতে পারি।'
এই প্রেক্ষাপটে এবার কার্যত একই সুর শোনা গেল সুকান্ত মজুমদারের গলায়। এটা প্রথম নয়। বুধবারও অধীর চৌধুরীর হার নিয়ে হতাশার সুর শোনা গেছিল তাঁর গলায়। সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, '২৫ বছর পর উনি পরাজিত হলেন, অধীরদা আমাদের সিনিয়র লিডার। আমি আশা করিনি উনি পরাজিত হবেন, তাও আবার তৃণমূলের কাছে ! যাই হোক মানুষ কোনও কারণে ভোট দিয়েছে। মানুষ মাঝে মাঝে এরকম ভুল করে। এক সময় তো মানুষ মুনমুন সেনকেও তো ভোট দিয়েছিল।'
অধীরের দুঃসময়ে সুকান্তর এই পাশে থাকার বার্তা কি বঙ্গ রাজনীতিতেও কি কোনও সম্ভাবনার পথ তৈরি হচ্ছে? সেটা বোঝা যাবে আগামী দিনেই।
আরও পড়ুন :