কলকাতা : বেলডাঙা যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হল বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। সুকান্ত মজুমদারকে আটকে দেওয়া হল কৃষ্ণনগরেই। পুলিশ তাঁকে যেতে বাধা দিলে প্রথমে তর্কাতর্কি হয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির বচসা তুঙ্গে ওঠে। তারপরই রাস্তায় বসে পড়ে অবস্থান বিক্ষোভ করেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে প্রিজন ভ্যানে তুলে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। প্রতিবাদে ধুবুলিয়ায় পথ অবরোধ করে বিজেপি।
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত বেলডাঙা। গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে এলাকাজুড়ে এখনও অব্যাহত চাপা উত্তেজনা। এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে একাধিক এলাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। জারি ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা ( পূর্বে আইপিসি অনুসারে যা ছিল ১৪৪ ধারা )।
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার এই পরিস্থিতি নিয়ে বারবার রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারীও। এরপর বুধবার বেলডাঙা যাওয়ার পরিকল্পনা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল পুলিশ। কৃষ্ণনগরে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে আটকানো হয়। পুলিশ আটকালে তর্কাতর্কি শুরু হয় সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে। পুলিশ জানায়, এলাকায় শান্তি রক্ষার স্বার্থেই তাঁকে এগোতে দেওয়া যাবে না। এলাকায় নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। এরপরই প্রতিবাদে পথে বসে পড়েন সুকান্ত। তখনই প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে।
বেলডাঙা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। এর আগে এই ইস্যুতে সোশাল মিডিয়ায় বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লেখেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ নীরব দর্শক।' এছাড়া বেলডাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে রাজ্যপালকে ইমেল করেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী। দিন কয়েক আগেই রাজ্যপুলিশের তরফে জানানো হয়, ভাঙচুর এবং হিংসার ঘটনায় বেলডাঙায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । দ্রুত পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন।
গত ১৭ নভেম্বর পুলিশের তরফে জানানো হয়, 'মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় গত রাতের ঘটনা সম্পর্কে ভুল তথ্য ও গুজব ছড়ানোর জন্য কিছু মহল থেকে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে । সেখানে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। যেখানে এ ঘটনা ঘটেছে সেই কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারিকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে ভাঙচুর ও হিংসার ঘটনায়। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ৬ জন আহত হয়েছে এবং তাদের যথাযথ চিকিৎসা চলছে। আহত সকলের অবস্থা স্থিতিশীল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত যাচাই-না-করা তথ্য ও পরিসংখ্যানে অনুগ্রহ করে কর্ণপাত করবেন না। আইন লঙ্ঘনকারীদের পাশাপাশি গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধেও কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
আরও পড়ুন :বাংলায় বলে না ইংরিজি বুঝি না ! কল্যাণকে আক্রমণ মদনের, 'রাসলীলা শেষ?' পাল্টা সাংসদ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।