কলকাতা : গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে দ্বিতীয় কোম্পানির হদিশ মিলেছে। স্কুল শিক্ষিকা হয়েও কীভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ? তা জানতে চান সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। এই লক্ষ্যে বাড়িতে যাওয়া সিবিআই আধিকারিকদের ফিরিয়ে দিয়েছেন সুকন্যা। এই আবহেই 'সতর্কবার্তা' দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। "যেসব তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ছেলে-মেয়েরা আছেন, তাঁদের নামে কিছু থাকলে এখনই বাবার নামে করে দিন। না হল ভবিষ্যতে তাঁদেরও ঘাড় ধরেও টান পড়তে পারে।" 


সুকান্ত মজুমদার বলেন, "চুরি যে করেছে তাকে তার শাস্তি ভোগ করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে তাঁর (অনুব্রত মণ্ডল) মেয়ের প্রতি আমাদের কোনও আক্রোশ নেই। থাকা উচিতও নয়। আমরা মনে করিও না। সে ভাল থাকুক। কিন্তু, চুরির কাজে তাঁর নাম যদি বাবা ব্যবহার করে থাকেন বেআইনি কাজে, তাহলে তাঁকে সম্মুখীন হতে হবে। আমার নামে বেআইনি কিছু থাকলে, বারার করা হলেও তার দায় আমার ওপর বর্তায়।  স্বাভাবিকভাবেই যেসব তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের ছেলে-মেয়েরা আছেন, তাঁদের নামে কিছু থাকলে এখনই বাবার নামে করে দিন। না হল ভবিষ্যতে তাঁদেরও ঘাড় ধরে টান পড়তে পারে।"


আরও পড়ুন ; 'বাবা হেফাজতে, মা-কে হারিয়েছি' , CBI এর সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন না অনুব্রত-কন্যা : সূত্র


অনুব্রত-কন্যার নামে নতুন সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, নীড় ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড নামে এই কোম্পানি তৈরি হয়। ২০০৬ সালে তৈরি হয় নীড় ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড রিয়েল এস্টেট কোম্পানি নীড় ডেভেলপারের শেয়ার ক্যাপিটাল ছিল দেড় কোটি টাকা। এএনএম অ্যাগ্রোকেম লিমিটেডের ঠিকানাতেই নীড় ডেভেলপারের ঠিকানা। এই কোম্পানির ডিরেক্টরও সুকন্যা মণ্ডল ও বিদ্যুৎবরণ গায়েন, দাবি সিবিআই সূত্রের। 


বুধবার সিবিআই বীরভূমে অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছায় । কিন্তু সূত্রের খবর, বাড়িতে যাওয়া সিবিআই আধিকারিকদের ফিরিয়ে দেন সুকন্যা মণ্ডল। অনুব্রত কন্যার বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ করে সিবিআই। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের সুকন্যা বলেন, বাবা সিবিআই হেফাজতে, মা-কে হারিয়েছি। এই অবস্থায় কোনও কথা বলব না। 


সিবিআই সূত্রে দাবি, সুকন্যার নামে বোলপুরে কেনা হয়েছে জমি, চালকল-সহ একাধিক সম্পত্তি। বেনামে কোম্পানিও খোলা হয়েছে। যার শেয়ার ভ্যালু কোটি টাকা। অথচ অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। তাঁর নামে এত সম্পত্তি কীভাবে হল, সেটাই জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।