হুগলি: "মুখ্যমন্ত্রীর পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। কিছুক্ষণ পরেই ধর্না শেষ করে রাজ্যপালের কাছে যাব। ১৭ বছরের ছাত্রকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইছি। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে।'' বললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?
এদিকে আজ ফের আটকানো হয় সুকান্ত মজুমদারকে। গতকাল রিষড়ার পর আজ শ্রীরামপুরে ধর্নায় যেতে বাধা দেওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। ডানকুনির জগন্নাথপুরে দিল্লি রোডে আটকে দেওয়া হয় সুকান্তর গাড়ি। পুলিশের দাবি, সামনে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই গাড়ি এগোতে দেওয়া যাবে না। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দিল্লি রোডের উপরই বসে পড়েন তিনি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, "যারা রামনবমীর মিছিলে বোমা মেরেছিল, মুখ্য়মন্ত্রী তাদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। পুলিশ যারা অশান্তি করছে তাদের আশ্রয় দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। রাজ্যপালকে আমরা সবকিছু জানিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাইব। কেন্দ্র কীভাবে হস্তক্ষেপ করবে সেটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ঠিক করবে। তৃণমূলের কাউন্সিলররা বোমা জমা করে রেখেছিল। মুঙ্গেরে অপরাধী ধরা পড়ার ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছি।''
গতকাল দলীয় কর্মীদের দেখতে রিষড়া যাওয়ার পথে, কোন্নগরের বিশালাক্ষীতলায় আটকানো হয় সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলে টানাপোড়েন। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এর প্রতিবাদেই আজ অবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত। এদিকে, গতকালের মতো আজও শ্রীরামপুর, রিষড়ার একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।
হিংসা বন্ধে কড়া বার্তা দিলেন সিভি আনন্দ বোসের:
রিষড়ায় পৌঁছে হিংসা বন্ধে কড়া বার্তা দেন রাজ্যপাল। এদিন তিনি বলেন, "পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এখানে এসেছি। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা শান্তিভঙ্গ করেছে, তাদের বরদাস্ত নয়। শান্তিপ্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করা হবে। বাংলায় দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন চলছে। এবার তার শেষ হওয়া প্রয়োজন। সবাইকে একজোট হয়ে এই নৈরাজ্যকে উৎখাত করতে হবে। ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেডকে প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত রোখার চেষ্টা করছে। একই ভাবে আত্মনির্ভর বাংলাও অশুভ শক্তির বিনাশ করবে। শান্তি প্রতিষ্ঠা হবেই, অপরাধীরা গরাদের পিছনে যাবে।'' রিষড়ায় পৌঁছে বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘সাবধান করেছিলেন গোপালকৃষ্ণ…ডাবল ডেকার বাস বেয়ে উঠে লাফ দিই’, স্মৃতিচারণ মমতার