কলকাতা: এবার নাম না করে সৌগত রায়কে (Sougata Roy) হুঁশিয়ারি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder)। এদিন তিনি বলেন, "তৃণমূল নেতারা বলছেন বিজেপি কর্মীদের চামড়া দিয়ে জুতো বানাবেন। তাঁদের বলে রাখি, পায়ের মাপ আমরাও নিতে জানি। পায়ের মাপের সঙ্গে হাতের মাপও নেওয়া হবে। বিজেপির ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভেবে নেবেন না।'' হুঙ্কার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। 


সুকান্ত মজুমদারকে পাল্টা কটাক্ষ সৌগত রায়ের: এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) বলেন, "সুকান্ত (Sukanta Majumder) নবাগত রাজনীতিবিদ। তাঁর মন্তব্য আমি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি না। আমি যে মন্তব্য করেছিলাম, সে বিষয়ে তো আগেই বলেছি যে না করলে ভাল হত। তৃণমূল কর্মীরা ওদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে কোনও শক্তিই নেই।'' 


ঠিক কী বলেছিলেন সৌগত রায়? কামারহাটিতে বেঁফাস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। শনিবার তৃণমূলের সাংসদ ও বিধায়কের মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিশেষ কিছু না বললেও, অসিত মজুমদারের হুঁশিয়ারি ভালভাবে নেননি তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ও। সরাসরি বলেছিলেন, বারবার ভুল করছেন অসিত মজুমদার। অসিত মজুমদারের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরেকজন লোকসভার সদস্য, তাঁকে নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। কিন্তু অসিত মজুমদার আগেও একটা ভুল করেছিলেন, আবারও করলেন। দল নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে। আমি তো দলের কোনও পদে নেই। তবে প্রবীণ সদস্য হিসেবে আমি দলকে বলব।’’ দলের অন্য জন প্রতিনিধির মন্তব্য সম্পর্কে শনিবার মুখ খুলেছিলেন সৌগত রায়। সে দিনই আবার কামারহাটিতে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “যারা আমাদের বেশি নিন্দা করছে এরপর আমি বলব, তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে। এই দিনের জন্য অপেক্ষা করুন।’’


কিন্তু একজন অধ্যাপকের মুখে এই ভাষা কেন? এই প্রশ্ন তুলে আগেও কটাক্ষ করেছেন  বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গতকাল তিনি বলেন, "একজন অধ্যাপক হয়ে তাঁর মুখ থেকে এই ধরনের কথা বেরচ্ছে, লজ্জায় আমার মাথা হেঁট হচ্ছে, কারণ আমিও একজন অধ্যাপক। বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতি কতটা নীচে পৌঁছে গেছে, তা প্রফেসর সৌগত রায় আরেকবার প্রমাণ করলেন।''


আরও পড়ুন: Anubrata Mondal Update: অনুব্রতর অনুপস্থিতিতেই যজ্ঞের আয়োজন বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে