সুনীত হালদার, হাওড়া : জ্বালাপোড়া গরম ( Summer Heat Wave ) । তার ওপর দেখা নেই বৃষ্টির। চরম সমস্য়ায় পড়েছেন কৃষকরা। প্রচণ্ড তাপে, হাওড়ার আমতায় বিস্তীর্ণ এলাকায় ধানের শিষ সাদা হয়ে গেছে। বিঘার পর বিঘা ধান গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। মাথায় হাত চাষীদের।
ধানের শীষ সাদা
হাওড়ার ( Howrah ) আমতা দু'নম্বর ব্লকের দ্বীপাঞ্চল ভাটোরা, ঘোড়াবাড়িয়া চিতনান ও কাশমলি অঞ্চলে হঠাৎ ধানের শিষ সাদা হয়ে যাওয়ায় ধান চাষিরা বিহ্বল হয়ে পড়েছেন। এলাকার চাষীদের ধারণা, অজানা রোগের কারণে বিঘার পর বিঘার ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্য়েই কৃষি দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ছত্রাক ঝলসা রোগে আক্রান্ত হয়েছে এইসব ধানের শিষ । মূলত, তাপমাত্রার হঠাৎ ওঠানামার ফলেই বেশি পরিমাণ জমিতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ধানের শিষের নমুনা সংগ্রহ করেছেন আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন :
জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা, দক্ষিণবঙ্গের ১১ জেলায় তাপমাত্রা ৪০-ডিগ্রির বেশি
ঝলসা রোগে আক্রান্ত ধান ?
কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, ঘোড়াবেড়িয়া ও চিতনান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৬৩০ হেক্টর এবং ভাটোরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৪১৭ হেক্টর বোরো ধান চাষ হয়েছে এবং কাশমুলি অঞ্চলে কয়েকশো হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সিংহভাগ ধানের শীষ ঝলসা রোগে আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মূলত ধানের শীষে ধান না হওয়াতে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ছত্রাক সংক্রামণের ফলে ঝলসা রোগে আক্রান্ত হয়েছে এইসব ধানের শীষ। মূলত তাপমাত্রার হঠাৎ ওঠানামা এবং হালকা আর্দ্র আবহাওয়ার ফলেই এই সংক্রমণ ছড়ায়।
জেলায় তাপমাত্রা ৪০-ডিগ্রির বেশি
এ যেন অচেনা চৈত্র। তীব্র শুষ্ক গরমে জ্বলছে বাংলা। গত ৫ বছরে এপ্রিলের শুরুতে একটানা এত বেশি গরম পড়েনি! দক্ষিণবঙ্গের ১১ জেলায় তাপমাত্রা ৪০-ডিগ্রির বেশি। আগামী সোমবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। বেলা বাড়লে লু বইবে। আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় আরও দু' থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে। সেই তাপমাত্রা স্থায়ী হতে পারে আরও দু-তিন দিন। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমছে। আপাতত ৪-৫ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
হাওড়ায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে (Weather Forecast) জানানো হয়েছে, হাওড়ায় প্রবল গরম অনুভূত হবে। মূলত সারাদিন রোদ থাকবে, আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। মেঘের দেখা মিলবে না। সকাল থেকেই রোদের তেজ থাকবে, প্রবল গরমও থাকবে। রাতের দিকেও আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকতে পারে ৩৫ শতাংশ।