জয়দীপ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একটি বা দু’টি নয়, লুঠ হয়ে গিয়েছিল জেরক্স মেশিনে (Xerox Machines) ঠাসা আস্ত একটি কন্টেনারই (Container Looted)। রহস্য সমাধানে পুলিশ যখন হন্যে হয়ে ঘুরছে, সেই সময় লুঠ হয়ে যাওয়া চারটি জেরক্স মেশিনের হদিশ মিলল সুন্দরবনে। শুধু সুন্দরবনই নয়, ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour), কাকদ্বীপ (Kakdwip)-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক জেরক্স মেশিন উদ্ধার হয়েছে। যেগুলি ভিন্ রাজ্য থেকে কন্টেনারে বোঝাই করে আনা হচ্ছিল। হদিশ মিলেছে লুঠ হয়ে যাওয়া কন্টেনারটিরও। এর পিছনে বড় কোনও চক্র কাজ করছে বলে অনুমান পুলিশের।
লুঠ হয়ে যাওয়া জেরক্স মেশিনগুলি ক্যানন সংস্থার। সেগুলির সামগ্রিক মূল্য প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। গত ১২ জানুয়ারি চেন্নাই থেকে জেরক্স মেশিনগুলি বোঝাই করে বাংলার উদ্দেশে রওনা দেয় একটি কন্টেনার। কিন্তু হাওড়ার ধূলাগড়ে (Dhulagarh) পৌঁছনোর পর কার্যত গায়েব হয়ে যায় কন্টেনারটি। এ ভাবে আস্ত কন্টেনারটি লুঠ হয়ে যাওয়ায় ফাঁপরে পড়ে পুলিশও। তদন্তকারী দল গড়ে তোলা হয়। বিভি্নন জেলার থানার সঙ্গে সংযোগ রেখে শুরু হয় তল্লাশি অভিযানও।
আরও পড়ুন: Murshidabad : প্রায় ৭ লক্ষ টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত, সুতিতে গ্রেফতার অভিযুক্ত
তাতেই মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন (Sundarbans Police) জেলার পুলিশ হারুডপয়েন্ট কোস্টাল থানার অন্তর্গত আনন্দনগরে আরিফ শেখ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছয় তদন্তকারীদের দল। সেখান থেকে লুঠ হয়ে যাওয়া চারটি জেরক্স মেশিন উদ্ধার হয়। এর পর সুন্দরবন থানার পুলিশের তরফেও জেলায় একটি তদন্তকারী দল গড়ে তোলা হয়। ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশও তদন্ত শুরু করে। তাতে রামনগর থানার ভাদুড়া থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে লুঠ হয়ে যাওয়া আস্ত কন্টেনারটি।
এ ছাড়াও, কন্টেনার থেকে লুঠ হয়ে যাওয়া আরও বেশ কিছু জেরক্স মেশিন উদ্ধার করা গিয়েছে। কাকদ্বীপের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২১টি জেরক্স মেশিন উদ্ধার করা গিয়েছে। বাকিগুলির খোঁজ চলছে। ধৃত আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। ধূলাগড়ে লুঠ হওয়া জেরক্স মেশিন তাঁর বাড়িতে কী করে এল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় আর কে কে যুক্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। কন্টেনারের চালক পলাতক। তাঁর খোঁজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।