ইলামবাজার: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলনকে সমর্থন, যুগ্ম বিডিওকে অফিসে ঢুকতে 'বাধা'। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মীদের অবস্থানে যোগ দেওয়ায় অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। ইলামবাজার তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল নেতার বাধার মুখে অফিসে ঢুকতেই পারলেন না যুগ্ম বিডিও। যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, 'মিথ্যে অভিযোগ, দেরিতে এসেছিলেন, তাই বাধা'।
যুগ্ম বিডিওকে অফিসে ঢুকতে 'বাধা': বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে, সোমবার ১০ মিনিটের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছিলেন। আর এই কারণেই কি অফিসে ঢুকতে দেওয়া হল না জয়েন্ট বিডিওকে? নির্ধারিত সময়ে অফিসে এসেও, বাধ্য হয়ে নিতে হল ক্যাসুয়াল লিভ বা CL। বিস্ফোরক দাবি করেছেন বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের জয়েন্ট বিডিও দেবাশিস বর্মন। অভিযোগ উঠেছে ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ ও ইলামবাজারের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ফজলুল রহমানের বিরুদ্ধে।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সোমবার রাজ্য জুড়ে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির ডাক দেয় যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। সেদিন ইলামবাজার ব্লক অফিসের বাইরে এরকমভাবেই সহকর্মীদের সঙ্গে ডিএ সংক্রান্ত দাবিদাওয়া নিয়ে মিনিট দশকের কর্মবিরতি পালন করেছিলেন জয়েন্ট বিডিও দেবাশিস বর্মন। এবিষয়ে জয়েন্ট বিডিও জানান, "যখন অফিসের গেটে যাই ১০.৪৫। তখন দেখলাম বেশকিছু অপরিচিত আনাগোলা করছেন। ২৫-৩০ জনের মতো। আমিও ঢুকলাম, বিডিও সাহেবও ঢুকলেন। বিডিও সাহেবকে ঢুকিয়ে দিলেন, আমাকে ঢুকতে দিলেন না। ঢোকার চেষ্টা করলাম। কেউ একজন আমাকে বুকে হাত ঠেকিয়ে বলল, এখানে ঢোকা যাবে না। বের করে দে।''
আন্দোলন জারির হুঁশিয়ারি: ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন তার আগে, দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। এরইমধ্যে ঝাঁঝ বাড়ছিল বকেয়া DA-আন্দোলন মেটানো নিয়ে। শহিদ মিনারে গত ২০ দিন ধরে চলছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের ধর্না-আন্দোলন। এদিন রাজ্য় সরকারি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য় ৩ শতাংশ হারে DA দেওয়ার ঘোষণা করল রাজ্য় সরকার।যদিও, DA-আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আন্দোলনকারী যৌথমঞ্চ।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বিবিসি-র অফিসে আয়কর হানা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগে সরব মমতা