সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ২০১৪-র প্রাথমিক টেট দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টে মামলা ফেরত পাঠাল সর্বোচ্চ আদালত। ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। তারই প্রেক্ষিতে, রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, নিয়োগের ৮ বছর পর এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগেই হাইকোর্ট এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করেছিল। এই আবেদনটিও খারিজের আবেদন জানায় তারা। কিন্তু রাজ্য়ের আবেদন খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত।
টেট দুর্নীতি নিয়ে চরম ডামাডোল হয়েছে রাজ্যে। দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে বহু রথী-মহারথীর। তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতারও হয়েছেন তাঁরা। আর গোটা ঘটনায় একটার পর একটা মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় এবার সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেল রাজ্য।
আরও মামলা:২০১৪ সালের টেট (TET) পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন ছিল বলে অভিযোগ করে মামলা হয়েছিল। সেই ভুল প্রশ্নের জেরে সব পরীক্ষার্থীই কি বাড়তি নম্বর পাবে এমন প্রশ্নও উঠেছিল। সেই মামলায় শুনানি হয়ে গিয়েছে হাইকোর্টে। যদিও তার রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত। ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ তুলে মামলা হয়েছিল। প্রশ্ন ভুল রয়েছে এই অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। তারপরেই ওই প্রশ্ন খতিয়ে দেখতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটি প্রশ্ন খতিয়ে দেখে জানায়, প্রশ্নে ভুল রয়েছে। তারপরে ২০১৮ সালে মামলাকারীদের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি। বাড়তি নম্বর দেওয়ার জন্য শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু, শুধুমাত্র মামলাকারীদের মধ্যেই এই নির্দেশ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তারপরেই ফের আরও একটি মামলা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, ওই নির্দেশ সবার জন্যই কার্যকর করতে হবে। সেই মামলারই শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছে হাইকোর্ট।
টেট পরীক্ষা নিয়ে একদিকে যখন এমন মামলা চলছে। তেমনই নিয়োগ নিয়েও নাকাল হচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এসএসসি, এসএলএসটি - সবক্ষেত্রেই চাকরি নিয়ে প্রবল গোলমালে অভিযোগ উঠেছে, ধর্না-আন্দোলন চলছে। নিয়োগের অপেক্ষায় দিন গুনছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: 'যাদের পাকা বাড়ি, তারা পাচ্ছে, যাদের মাথায় ছাদ নেই, তারা পাচ্ছে না,' বিস্ফোরক দেব