কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) আবেদন খারিজ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) আবেদনে সাড়া দিল না সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)। হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Amrita Sinha) বেঞ্চ থেকে মামলা সরানোর আর্জি খারিজ। 'বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমের খবরে মানহানি হচ্ছে'। এই ধরনের খবর প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেছিলেন অভিষেকের আইনজীবী। এই আবেদনের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানান, আমরা এই ধরনের কোনও নির্দেশ দেব না। কোনও আবেদন থাকলে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান।
১২ ডিসেম্বর শুনানিতে হাইকোর্টে অভিষেক-রুজিরার সম্পত্তির প্রসঙ্গও ওঠে। আয়ের উৎস খতিয়ে দেখা হয়েছে কি না, ইডির কাছে জানতে চান বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। 'নথি থেকে দেখা যাচ্ছে, এই বিপুল সম্পত্তির বেশিরভাগই ২০১৪ সালের পরে। এই অল্প সময়ের মধ্যে এই বিপুল সম্পত্তি! আর এই সময়ের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি' বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবারেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তি বেড়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফের আরও একবার ধাক্কার মুখে তিনি। গত ৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিন্হার সিঙ্গল বেঞ্চ এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ নয় বলে, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ। শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালত এও নির্দেশ দেয় যে, ED-কে আইন মেনেই কাজ করতে হবে। আইনের বাইরে কিছু করা যাবে না।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এর আগে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের বাকি ডিরেক্টরদের সম্পত্তির নথি জমা দিতে দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান অভিষেক। সিঙ্গল বেঞ্চের সিংহভাগ নির্দেশকেই বহাল রাখে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপরই, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শুক্রবার, এই আবেদনই খারিজ হয়ে যায় সুপ্রিম কোর্টে।