কলকাতা: আসানসোলে কম্বল বিলিকাণ্ডে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) গ্রেফতার নিয়ে রাজ্যের (West Bengal) জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নোটিস জারি করে রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চাইল সর্বোচ্চ আদালত। রাজ্য পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জিতেন্দ্রর আইনজীবীরা। সেই মামলাতেই রাজ্যের কাছে জবাব চাইল সর্বোচ্চ আদালত। অন্যদিকে, কম্বল বিলিকাণ্ডে আসানসোল পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর গৌরব গুপ্ত ও যুব মোর্চা নেতা তেজপ্রতাপ সিংয়ের গ্রেফতারিতে আগাম স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।                           


বর্তমানে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে আসানসোল পুলিশের কাছে রয়েছেন জিতেন্দ্র। কম্বলকাণ্ডে আগাম জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জিতেন্দ্র। তবে সেই মামালার শুনানির আগেই তাঁকে ভিনরাজ্য থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। 


গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর, আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর জিতেন্দ্র পত্নী চৈতালি তিওয়ার উদ্যোগে রামকৃষ্ণডাঙায়, শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে কম্বল নেওয়ার জন্য শুরু হয় হুড়োহুড়ি। তাতে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন।                            


আরও পড়ুন, পার্থ-মানিকের পর এবার নতুন প্রভাবশালীদের নাম নিয়োগ দুর্নীতিতে?


পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানের জন্য কোনও লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়নি। পাল্টা, বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, চৈতালি তিওয়ারি আসানসোল উত্তর থানাকে চিঠি লিখে অনুষ্ঠানের বিষয়ে অবহিত করেছিলেন। এই ঘটনায় চৈতালি ও জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টেও। আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেত্রীকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ। এরপর গত শনিবার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি গ্রেফতার করা হয়। নয়ডায় আসানসোল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি।