কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান:  'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচীর আগেই তৃণমূল বিধায়কের নাম করে পড়ল ' দূর হঠো' পোস্টার (Poster Controversy)। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার বনপাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারপাড়া মিস্ত্রি পাড়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 


'বিজেপি-সিপিএমের কাজ'


মিস্ত্রিপাড়ার বিভিন্ন এলাকায়, ওই পোস্টারে লেখা হয়েছে,'৩৫ টি গরীব পরিবারের কাছ থেকে জমি কেড়ে নিয়ে বড়লোককে বিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা কার স্বার্থে,মহাশয় আপনি জবাব দিন।' তারপরেই লেখা,'মানগোবিন্দ অধিকারী দূর হঠো।' যদিও ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী জানান, 'আমি পোস্টার দেখিনি তাই বলতে পারব না। মিথ্যা অভিযোগ। বিজেপি-সিপিএমের কাজ।'


'সময় এসেছে চালের খুদ বাছার'


ভাতার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাসুদেব যশ জানান, 'মিথ্যা অভিযোগ। জমি নিয়ে দুষ্কৃতকারীদের দালালি করার ইচ্ছা ছিল করতে পারেনি,তাই এই মিথ্যার আশ্রয়। তার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য,'চালের মধ্যে খুদ থাকে,সময় এসেছে খুদ বাছার।'


'এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব'


যদিও বিধায়কের বিরোধীদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের পাল্টা হিসাবে বিজেপি বর্ধমান জেলা কমিটির সহ সভাপতি শ্যামল রায় জানান,'বিধায়ক মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন।এর সাথে বিরোধীদের কোনও যোগ নেই। এটা সম্পূর্ণভাবেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। জমির দখলদারী নিয়ে কামারপাড়া এলাকার তৃণমূল নেতার  সাথে বিধায়ক অনুগামীদের লড়াইয়েরই ফলশ্রুতি এটা।'


তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ


প্রসঙ্গত, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে পঞ্চায়েত স্তরে বারবার নানা প্রকল্প নিয়ে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। এবার তেমনই অভিযোগ সম্প্রতি উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতার নামে পঞ্চায়েতের একাধিক প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে পোস্টার পড়ে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁকে হেয় করতেই এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সুর চড়িয়ে বাম ও বিজেপি। 


আরও পড়ুন, অনুব্রতর হিসাবরক্ষকের ১৪ দিনের জেল হেফাজত, মণীশকে নেওয়া হবে তিহাড় জেলে 


রাস্তার ধারের কোনও দেওয়াল নয়, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এই পোস্টার পড়েছে খোদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রতাপনগর অঞ্চল তৃণমূলের কার্যালয়ে। প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান সদস্য এবং পঞ্চায়েতের পূর্ত দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য সঞ্জয় নস্কর এবং প্রতাপনগর অঞ্চল সভাপতি দিলীপ ঢালি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। পোস্টারে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। সোনারপুরের প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই পোস্টার ছেয়ে গিয়েছে।