বিজেন্দ্র সিংহ, অনির্বাণ বিশ্বাস ও সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে শেষ হল DA মামলার শুনানি। রাজ্য সরকার এবং রাজ্য় সরকারি কর্মচারীদের ৩ সপ্তাহের মধ্যে তাদের লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলল সর্বোচ্চ আদালত। এই নির্দেশ দিয়ে রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সঞ্জয় করোল ও প্রশান্ত কুমার মিশ্রর বেঞ্চ। DA মামলার শুনানিতে সোমবার রাজ্য সরকারের বক্তব্য শুনতে চায় সুপ্রিম কোর্ট।
রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, যদি কেন্দ্রীয় হারে DA দেওয়ার কোনও আইন থাকে তাহলে আলাদা বিষয়। রাজ্য সরকারের দেওয়া DA কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল নয়। বিভিন্ন রাজ্য সরকার বিভিন্ন হারে DA দেয়। যদি সব রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে DA প্রযোজ্য হয়, তাহলে সব রাজ্য সরকারকে নোটিস দেওয়া হোক। আমাদের মানতে হলে, সব রাজ্য সরকারকেই মানতে হবে।
সোমবার মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বিভিন্ন রাজ্যের নিয়ম ভিন্ন। বাংলার নিয়ম ছত্তীসগঢ়ের জন্য প্রযোজ্য নয়। পশ্চিমবঙ্গ ২০১০ সাল পর্যন্ত নিজস্ব নিয়ম অনুসরণ করেছে। এরপর ২০১০ সালের নীতি থেকে সরে আসে রাজ্য সরকার। সেই সময় রাজ্য সরকার যে নিয়ম মেনে চলত, এখন তা অনুসরণ করা হয় না। ট্রাইব্যুনাল এবং হাইকোর্ট আমাদের যুক্তি সমর্থন করেছে।রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা এখন DA পান ১৮% হারে।অর্থাৎ এখনও কেন্দ্র রাজ্যের মধ্য়ে DA-র ফারাক ৩৭%।
সুপ্রিম কোর্টে শেষ হল DA মামলার শুনানি। রাজ্য সরকার এবং রাজ্য় সরকারি কর্মচারীদের ৩ সপ্তাহের মধ্যে তাদের লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলল সর্বোচ্চ আদালত। এই নির্দেশ দিয়ে রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সঞ্জয় করোল ও প্রশান্ত কুমার মিশ্রর বেঞ্চ। DA মামলার শুনানিতে সোমবার রাজ্য সরকারের বক্তব্য শুনতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, যদি কেন্দ্রীয় হারে DA দেওয়ার কোনও আইন থাকে তাহলে আলাদা বিষয়। রাজ্য সরকারের কেন্দ্রীয় হারে DA দেওয়ার কোনও আইন নেই। বিভিন্ন রাজ্য সরকার বিভিন্ন হারে DA দেয়।
যদি কেন্দ্রীয় হারে সব রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে DA প্রযোজ্য হয়, তাহলে সব রাজ্য সরকারকে নোটিস দেওয়া হোক। আমাদের মানতে হলে, সব রাজ্য সরকারকেই মানতে হবে। রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল আরও বলেন, অঞ্চলভেদে DA ভিন্নভাবে নির্ধারিত হয়। কারণ, বিভিন্ন জায়গায় জীবনযাত্রার খরচ, মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রয় ক্ষমতা বিভিন্ন রকমের। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যে সুবিধা পাচ্ছেন, হয়তো কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন না।
১৬ মে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া DA-র ২৫% মেটানোর অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেদিন সওয়াল জবাবে, রাজ্য় সরকারের তরফে প্রবল আপত্তি জানিয়ে বলা হয়, বকেয়া DA মেটাতে গেলে বিপুল পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হবে। রাজ্য সরকারের কোমর ভেঙে যাবে। এরপর, সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে বলা হয়, ২০০৯ সালের পয়লা জুলাই থেকে ২০১৫-এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া DA-এর ২৫ শতাংশ মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে।
কিন্তু বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে আরও ৬ মাস সময় চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করে রাজ্য সরকার। সোমবার মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বিভিন্ন রাজ্যের নিয়ম ভিন্ন। বাংলার নিয়ম ছত্তীসগঢ়ের জন্য প্রযোজ্য নয়। পশ্চিমবঙ্গ ২০১০ সাল পর্যন্ত নিজস্ব নিয়ম অনুসরণ করেছে। এরপর ২০১০ সালের নীতি থেকে সরে আসে রাজ্য সরকার। সেই সময় রাজ্য সরকার যে নিয়ম মেনে চলত, এখন তা অনুসরণ করা হয় না। ট্রাইব্যুনাল এবং হাইকোর্ট আমাদের যুক্তি সমর্থন করেছে।
রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা এখন DA পান ১৮% হারে। অর্থাৎ এখনও কেন্দ্র রাজ্যের মধ্য়ে DA-র ফারাক ৩৭%। বকেয়া ডিএ কি পাবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মীরা? উত্তর পাওয়া যাবে পুজোর পরে?