কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নবম-দশম, গ্রুপ সি (Group C), গ্রুপ ডি (Group D)-তে চাকরি বাতিলের নির্দেশ আপাতত স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। গতকাল এই নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ। 


প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৯৫২ জন নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বিকৃতির অভিযোগ ওঠে। তাঁদের মধ্যে ৬১৮ জন শিক্ষকের নিয়োগের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে এসএসসি। এই শিক্ষকদের একাংশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু বলেন, “কাদের চাকরি গিয়েছে, কী ভাবে চাকরি গিয়েছে, তা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে।” 


সেই মতোই সিবিআই-কে নোটিশ জারি করে তাদের বক্তব্যও জানতে চেয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। ১২ এপ্রিল সেই মামলারই শুনানি ছিল।                                                                                   


আরও পড়ুন, 'বিকাশ ভট্টাচার্যের ক্যাডাররা ওখানে গিয়ে বসে আছে', অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ


এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি খারিজের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি এই শূন্যস্থানগুলিতে নিয়োগের জন্যও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তবে এই রায়ের প্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চ এবং সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরি খোয়ানো কর্মীরা। সেই শুনানিতে চাকরিচ্যুত হওয়ার নির্দেশের পর নবম দশম এবং গ্রুপ সি-র নিয়োগে কাউন্সেলিংয়ের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।


এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমবার কলকাতা হাইকোর্টে উঠল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম।  কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে চাপ দেওয়ার, কুন্তল ঘোষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বলেন, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং কুন্তল ঘোষকে দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত CBI, ED-র। গত ২৯ মার্চ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় একটি সভায় যে বক্তব্য রেখেছিলেন তার সঙ্গে কুন্তল ঘোষের বয়ানের সাযুজ্য আছে। সম্প্রতি, শহিদ মিনারের সভা থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়