কলকাতা: আদালতে পেশের সময় বাংলার মানুষকে নববর্ষের (Nababarsha) শুভেচ্ছা জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। মূলত  নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিন্হা-সহ ১৩ জনকে আজ ফের আলিপুরের সিবিআই আদালতে (Court) তোলা হবে। এদিন CBI আদালতে পেশের আগে পার্থ বললেন, 'সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা'। 


সূত্রের খবর, জেলবন্দি এই ১৩ জনেরই জামিনের বিরোধিতা করবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। গত ১৪ দিনে পার্থ, সুবীরেশ, এসপি সিন্হা, কল্যাণময়দের বিরুদ্ধে নতুন কী তথ্য উঠে এসেছে, তা আদালতে তুলে ধরবে সিবিআই (CBI)। প্রসহ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে শাসকদল। তবুও তৃণমূলের পাশে থাকারই বার্তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের । সেই সঙ্গে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে পার্থর গলায়।


সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, মমতার উপর ১০০ শতাংশ বিশ্বাস রয়েছে তাঁর। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে যখন রেড রোডে ধর্নায় ছিলেন মমতা, সেই সময়ই আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে তাঁর প্রশংসা করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার সংযোজন, 'কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই চিরকালই ছিল। শুধুমাত্র ধর্না নয়, তিনি বাংলার হয়ে দীর্ঘদিন লড়াই করা একজন সংগ্রামী নেত্রী। তিনি বাংলার ভাগ্য দেখবেন, উন্নয়ন দেখবেন। বাংলার প্রাপ্য অর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদায় করেই ছাড়বেন।' যদিও তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিয়ে এত প্রশংসা সত্ত্বেও, গ্রেফতারির পর বরাবরাই প্রথম থেকেই নেত্রীকে পাশে পাননি পার্থ।


আরও পড়ুন, গোয়ালঘরে বাইসন ! চক্ষু চড়কগাছ বাড়ির মালিকের, ভাইরাল ভিডিও


গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত বাংলায় তৃণমূল সরকারের দু'নম্বর ব্যক্তি ছিলেন পার্থ। মমতার ছায়াসঙ্গী বলা হতো তাঁকে। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পর পরই তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের পদ আজও টিকে থাকলেও, পার্থকে ছেঁটে ফেলা হয় এক সপ্তাহের মধ্যেই। তার পর থেকে তাপস রায় থেকে কুণাল ঘোষ, তৃণমূলের একাধিক নেতা পার্থর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন প্রকাশ্যে। পার্থকে চিনতে পারেননি বলে মন্তব্য করেন ফিরহাদ হাকিমও। দুর্নীতির সঙ্গে আপস নয় বার্তা দিতে গিয়ে পার্থর নাম নিয়েছেন অভিষেকও। তবে মমতা তুলনামূলক অনেকটাই সাবধানী। যে কেউই হোক না কেন, দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন মমতা। একই সঙ্গে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।