বিটন চক্রবর্তী ও ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বালেশ্বর: গত কাল পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) পর এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনায় জখমদের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে গেলেন বালেশ্বর মেডিক্যাল কলেজে (Balasore Medical College)। কথা বললেন অর্থোপেডিক বিভাগে ভর্তি জখমদের সঙ্গে। যাঁদের অপারেশন হয়েছে, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন শুভেন্দু। তবে এসবের মধ্যে তাঁর মূল অভিযোগ, 'মেডিক্যাল অফিসারের অনুমতি ছাড়া ৯ জন রোগীকে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে এসেছেন মুখ্য়মন্ত্রী।' কিন্তু বাংলায় ভাল চিকিৎসা পরিষেবা অমিল, দাবি শুভেন্দুর। এবার তাই মুখ্যসচিবের কাছে বিরোধী দলনেতার আর্জি, এমন যেন না হয়। 


কী বললেন?
এদিন জখমদের পাশাপাশি তাঁদের পরিজনের সঙ্গেও কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা। জখম যাত্রীদের কার কী অবস্থা, উন্নত পরিষেবার জন্য অন্যত্র স্থানান্তরের প্রয়োজন রয়েছে কিনা,  সেই সব নিয়েও কথা বলেন শুভেন্দু। জখমদের মধ্যে যাঁরা বাড়ি যাওয়ার মতো অবস্থায় রয়েছেন, তাঁদের জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা যায় কিনা, সে সব নিয়েও আলোচনা করেন বিরোধী দলনেতা। রবিবার স্থানীয় বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বালেশ্বর মেডিক্যাল কলেজে এসেছিলেন তিনি। আহতদের ব্যাপারে বিশদ খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি যাঁরা একদম একা পড়ে গিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন শুভেন্দু। উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য জখমদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কিনা, সেটি নিয়েও আলোচনা করেন। অর্থোপেডিক বিভাগ থেকে সদ্য সার্জারি হওয়া রোগীদেরও খোঁজখবর নেন। তবে সেখান থেকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে নিশানা করেন তিনি। শুভেন্দুর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্য় পরিষেবার হাল শিকেয়। তার পরও মেডিক্যাল অফিসারের অনুমতি না নিয়েই বেশ কয়েক জনকে রাজ্যে নিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতার কথায়, 'বাংলায় শিকেয় স্বাস্থ্য পরিষেবা, সেজন্যই তো ভাইপো বিদেশে চিকিৎসা করাতে যান।' একই সঙ্গে 'অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইস' নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তাঁর প্রতিক্রিয়া, 'তদন্তের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করে জানলেন অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস ছিল না?' 


এখনও পর্যন্ত যা...
বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৫ জনের। জানালেন ওড়িশার মুখ্যসচিব। আপাতত যা জানা যাচ্ছে, তাতে আহতের সংখ্যা হাজারেরও বেশি। কিন্তু কীভাবে ঘটল এতবড় দুর্ঘটনা? দায় কার? চলছে তরজা। রেলবোর্ড জানিয়েছে, দুটি এক্সপ্রেস ট্রেনেরই সিগনাল গ্রিন ছিল। কোনও একটি ত্রুটির জেরে দুর্ঘটনা। তদন্তের পরই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। 


আরও পড়ুন:গরম পড়লেই ভরসা আখের রসে? কতটা কাজে লাগে? আদৌও উপকার রয়েছে?