কলকাতা: মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,' মহাকুম্ভ আমি নাই বা বললাম। ওটা এখন মৃত্যুকুম্ভ হয়ে গেছে।' এরপরেই মমতার 'মৃত্যুকুম্ভ' মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। মমতার 'মৃত্যুকুম্ভ' কটাক্ষ ঘিরে এবার রাজ্যপালকে নালিশ জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী



এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, 'মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলছেন মুখ্যমন্ত্রী! এটা রেকর্ডে থাকবে। মৃত্যুকুম্ভ-মন্তব্য করার পরও মুখ্যমন্ত্রীর কোনও অনুশোচনা নেই। রাজ্যপাল ওই অংশ বাদ দেওয়ার জন্য স্পিকারকে বলুন। অবিলম্বে মন্তব্য প্রত্যাহার করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ চলবে। আমাকে নতুন হিন্দু নেতা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।আমি হিন্দু নেতা নই, শঙ্করাচার্যরা ধর্মীয় নেতা', বলেন শুভেন্দু। 


মহাকুম্ভে বিপর্যয় এবং পুণ্য়ার্থীদের মৃত্য়ু নিয়ে, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মন্তব্য় রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলেছে! যা নিয়ে একযোগে আক্রমণে নেমেছেন যোগী আদিত্য়নাথ থেকে শিবরাজ সিং চৌহানের মতো নেতারা। মঙ্গলবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে, কুম্ভে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


মুখ্য়মন্ত্রী বলেছিলেন,'আমি মহাকুম্ভকে সম্মান করি। আমি শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু পরিকল্পনা না করে, এত হাইপ তুলে, এত লোকের মৃত্য়ু! বললেন ৩০ জন। কথাটা কি সঠিক? কত মৃতদেহ ভাসিয়ে দিয়েছেন নদীতে? কত? হাজার-হাজার। আটবার আগুন লেগেছে। মৃতদেহের ওপর দিয়ে যাঁরা এই হাইপ তুলছেন, আর টাকা কামানোর জন্য় ধর্মকে বিক্রি করছেন, তাঁদের আমি মন থেকে মেনে নিতে পারি না।' 


 ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলনেত্রীকে পাল্টা জবাব দিলেন যোগী আদিত্যনাথ।  ANI সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী  যোগী আদিত্যনাথ বলেন, সনাতনের আয়োজনকে ওদের ফালতু মনে হয়। আর এদের এক সহযোগী এর চেয়ে আরও ২ পা এগিয়ে বলেন যে মহামকুম্ভ মৃত্যুকুম্ভে পরিণত হয়েছে। এটা কী!  এই ধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস, আরজেডি ও তৃণমূলের নেতারা সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় আয়োজন নিয়ে করছেন। আস্থাকে সম্মান দিয়ে আয়োজন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কি অপরাধ? যদি সেটা অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের সরকার সেই অপরাধ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।'


আরও পড়ুন, 'প্রায় ১০ হাজার কর্মসংস্থান হবে..' ! বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর 


এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, 'বিজেপির কেউ মুসলিমদের ভোটে জেতেনি। রাজ্যপালের ভাষণে সরকারের কাজের প্রতিফলন থাকে। এবার বিরোধী দলনেতাকে বাইরে রেখে জবাবি বক্তৃতা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্রেড মিলে তৈরি রাজ্য বাজেট, কেন সরাসরি সম্প্রচার করা হল না? এই বাংলায় পাড়ায় পাড়ায় রোহিঙ্গা।রাজ্যজুড়ে রোহিঙ্গায় ছেয়ে গেছে, আক্রমণ শুভেন্দুর । 'কেন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে না? আমার বিরুদ্ধে যত খুশি স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনুন', হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার।