কলকাতা : নবান্নয় মুখ্যমন্ত্রী-অরবিন্দ কেজরিওয়াল বৈঠককে কটাক্ষ করে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর। ট্যুইটারে বিরোধী দলনেতা লিখলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের স্টেট সেক্রেটারিয়েটকে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।' তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ট্যুইটারে শুভেন্দু লেখেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্য রাজ্য সচিবালয়কে ব্যবহার করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও এই রাজনৈতিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। যদি এই বৈঠক দুই মুখ্য়মন্ত্রীর হয়, তাহলে কী বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত এখানে নেওয়া হল ? পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লির সরকারের মধ্যে কোনও মউ সাক্ষরিত হল কি ? দিল্লি সরকার কি পশ্চিমবঙ্গকে আবগারি নীতির ব্যাপারে কোনও সাহায্য করতে চলেছে ? কীভাবে সততা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ সম্ভব ? সেই ব্যাপারে দিল্লির শিক্ষা দফতরকে কি কোনও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে রাজ্য ?'





উপলক্ষ্য, দিল্লি সংক্রান্ত মোদি সরকারের অর্ডিন্যান্স জারির বিরোধিতা করা হলেও, নজরে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন।
তার আগে, নবান্নে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সঙ্গে ছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান, আপ নেতা রাঘব চাড্ডা এবং অতিশী মারলেনা। প্রায়, ১ ঘণ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আম আদমি পার্টির নেতৃত্বের কথা হয়।


দিল্লি সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স নিয়ে, লোকসভায় বিজেপির কোনও চিন্তা নেই, কারণ তাদের নিরঙকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, কিন্তু, রাজ্য়সভায় এই অর্ডিন্য়ান্স আটকাতে হলে কেজরিওয়ালের কংগ্রেসের সমর্থন একান্তই প্রয়োজন। কিন্তু কংগ্রেস কি তা করবে? ইঙ্গিতপূর্ণভাবে কংগ্রেসের সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল ট্যুইট করে বলেছেন, অর্ডিন্যান্সের বিষয়ে কংগ্রেস এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস এবং সমমনোভাবাপন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।


তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও অরবিন্দ কেজরিওয়াল, দুজনেই মোদি বিরোধী বলে পরিচিত হলেও, কংগ্রেস কিংবা রাহুল গান্ধীর থেকে আগাগোড়া দূরত্ব তৈরি করে রেখেছেন !


সাম্প্রতিককালে মমতা একাধিক বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন, কংগ্রেসও একাধিক বিরোধী দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে, কিন্তু মমতা কিংবা কেজরিওয়ালই কেউই কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে বৈঠকে বসেননি।