কলকাতা: দুর্নীতি করেছি প্রমাণ দিন, রাজনীতি ছেড়ে দেব। হাজরা মোড়ে গিয়ে ক্ষমা চাইব। খেজুরিতে পাল্টা সভা করে এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্দেশে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফের চোর কটাক্ষ করলেন তৃণমূলকে (TMC)। চড়া সুরে পাল্টা জবাব এসেছে শাসকদলের পক্ষ থেকেও। 


দুই সভার মধ্যে ব্যবধান মাত্র ১ সপ্তাহ। আর সভাস্থলের দূরত্ব মেরেকেটে ৫০ মিটার। খেজুরির ঠাকুরনগরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখান থেকেই দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে ফের তৃণমূলকে 'চোর' বলে বারবার কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা।                           


শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'খুব বড় বড় কথা, মেদিনীপুরে চাকরি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া। একটা নাম দেখান মুখ্যমন্ত্রী, আমি বিরোধী দলনেতা বলছি, একটা প্রমাণ দিন, রাজনীতি ছেড়ে দেব। আপনার বাড়ির সামনে, হাজরা মোড়ে দাঁড়িয়ে ক্ষমা স্বীকার করব। সবাই জানে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুরো সিন্ডিকেটের রানি, চোরেদের রানি।' 


আরও পড়ুন, 'মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ তৃণমূলের জাতীয় দলের স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়ার জন্য', কটাক্ষ শুভেন্দুর


২ বছর আগেও তাঁরা ছিলেন সহকর্মী। আর ২০০৭ - ৮ সালে নন্দীগ্রামে আন্দোলনের সময় তো, প্রায় একসঙ্গেই দেখা যেত দু'জনকে। আর এখন ঘোর শত্রু। বিরোধী দলনেতা বলেন, 'গদ্দার! আরে গদ্দার যদি কেউ থাকে, ভারতের রাজনীতিতে, তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনাকে কেউ চিনত না, আপনাকে রাজীব গান্ধী পরিচয় দিয়েছে। আপনি ৯৮ সালের ১ জানুয়ারি রাজীব গান্ধীকে ছুরি মেরেছেন। আপনি ফেউ ফেউ করে ঘুরছিলেন, কেউ আপনাকে আশ্রয় দিচ্ছিল না। ভারত রত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী আপনাকে আশ্রয় দিয়েছে ৯৮ সালে। তাই আজ আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবচেয়ে বড় যদি কেউ গদ্দার হয়ে থাকে রাজনীতিতে, তার নাম হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'