কলকাতা: তৃণমূলের 'শহিদ দিবসে'র পাল্টা 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' পালনের ঘোষণা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রতি বছর ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল। এ বছর থেকে ওই একই দিনে 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' পালনের ঘোষণা করলেন শুভেন্দু। রবিবার রাজভবনের সামনে ধর্না শেষ করে ঘোষণা করলেন তিনি। তৃণমূলতে সরাতে গণ আন্দোলনের ডাক দিলেন। (Suvendu Adhikari )


হাইকোর্টের অনুমতিতে আজ রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসে বিজেপি। শুভেন্দু ছাড়াও অর্জুন সিংহ, তাপস রায়, অগ্নিমিত্রা পালরা উপস্থিত ছিলেন ধর্নামঞ্চে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ধর্না অবস্থান চলে। ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদেরও এদিন ধর্নামঞ্চে আনা হয় বলে জানায় বিজেপি। সেখান থেকে বেরিয়েই ২১ জুলাই বিজেপি-র কর্মসূচির ঘোষণা করেন শুভেন্দু। (TMC July 21)


শুভেন্দুর এই ঘোষণা নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "গণতন্ত্রপ্রেমী বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষ ২১ জুলাই আসবেন। শহিদের রক্তের বিনিময়ে ভারতের গণতন্ত্র রক্ষা হয়েছিল। সেটাকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস করার চেষ্টা হলে, শুভেন্দু অধিকারীকে লক্ষ লক্ষ মানুষের থেকে লুকিয়ে থাকতে হবে। বিজেপি আজ গণতন্ত্র হত্যা করতে চাইছে গোটা দেশে, সংবিধান হত্যা করতে চাইছে। শুভেন্দুর এই ঘোষণা চারিদিকে নিন্দিত হবে, ছিঃ ছিঃ করবে সকলে।"


আরও পড়ুন: Jagannath temple Ratna Bhandar: খোলা হল জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার, ভিতরের সম্পদ নিয়ে তুঙ্গে কৌতূহল


জয়প্রকাশ আরও বলেন, "দলটাকে আবারও বিসর্জন দিচ্ছে শুভেন্দু। গতকাল যে ফলাফল বেরিয়েছে, তাতে লজ্জা হয়নি। আজ যে ঘোষণা করলেন, বলা যায়, বিজেপি-র কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দিলেন শুভেন্দু এই ঘোষণার মাধ্যমে।"


এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও। তাঁর কথায়, "গুলি করে ১৩ জনকে হত্যা করা হয়। আসলে ১৪ জনকে, একজনের নাম জানা যায়নি। সেই থেকে এই দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত বছর ধরে হয়ে চলেছে। আজ মাঝে মধ্যে কোনও কোনও দল জেগে ওঠে। ২১ জুলাই মমতার সৈনিকদের বলিদানের দিন। সিপিএম কলকাতার বুকে গণহত্যা করেছিল। মমতা দেখিয়েছিলেন, কীভাবে শহিদ পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হয়। ওই দিনটা বাংলা এবং দেশের রাজনীতির দিক নির্দেশ করে। সেটাকে নকল করে, প্রচারে থাকার জন্য এসব করেন অনেকে।"