উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার ডাকা 'উত্তরকন্যা অভিযানে' অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ২১ জুলাই কলকাতায় পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশের কারণে শিলিগুড়িতে 'উত্তরকন্যা অভিযানে'র অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না বলে চিঠি দিয়ে বিজেপির যুব মোর্চাকে জানিয়েছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট। যা নিয়ে এদিন হুঙ্কার শোনা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার গলায়। তাঁর স্পষ্ট দাবি ২১ যদি কলকাতাতে হয়, তাহলে শিলিগুড়িতে হওয়া উচিত।

এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "২১ জুলাই উনি একাই বক্তৃতা করবেন নাকি! গণতান্ত্রিক দেশ তো। তাও তো বিজেপি দক্ষিণবঙ্গে করেনি, উত্তরবঙ্গে করেছে। এখন তো রাজতন্ত্র নেই। উনি একাই সব করবেন। ওঁর চাটুকাররা গান গাইবেন। উনি ৭০ হাজার লোককে বলবেন ৭০ লক্ষ লোক, গোটা কলকাতা ভেসে গেছে। কলকাতা ভরে গেছে, এইসব করবেন। তারপর ছেঁড়া পাগলু ড্যান্স হবে। এদিকে ঘাটাল ডুবছে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোর্ট নেবে। ২১ তারিখ যদি বন্ধ হয়, তাহলে দুটোই কোর্ট বন্ধ করুক। পুলিশ, সরকারি আইনজীবী বলেছে ২০ এবং ২২ জুলাই। ২০-তে তৃণমূল করবে, ২২-এ আমরা উত্তরকন্যা করব। ২১ যদি কলকাতাতে হয়, তাহলে শিলিগুড়িতে হওয়া উচিত। শিলিগুড়ি যদি বন্ধ হয় তাহলে কলকাতাতেও বন্ধ হওয়া উচিত। এটা তো রাজনৈতিক কর্মসূচি। ২১ জুলাই নিয়ে ওঁর কী? এ তো যুব কংগ্রেসের প্রোগ্রাম। প্রোগ্রাম ছিল কংগ্রেসের, গুলি করেছিল সিপিএম, মঞ্চ বাঁধছে তৃণমূল, গালাগালি করবে বিজেপিকে।'' 

এই ইস্যুতে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূলও। এবিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সব সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "একটা অর্বাচিনের মতো কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী যে ২১ জুলাইয়ের অনুমতি দিলে আমাকেও দিতে হবে। ২১ জুলাইয়ের সঙ্গে অন্য কোনও অনুষ্ঠানের তুলনা হয় না। ২১ জুলাই শহিদরা প্রাণ দিয়েছিলেন বলেই ভারতবর্ষের নাগরিকদের হাতে ভোটার আইডি কার্ড আছে। তার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দান ভারতের জনগণকে। তার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর এই কথা মেনে নেওয়া যায় না।

ভোটার তালিকা থেকে বাংলাদেশিদের বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে কমিশনে যান শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, "কৃষ্ণনগরের সাংসদকে দিয়ে মামলা করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।যাতে রোহিঙ্গাদের নাম তালিকা থেকে বাদ না যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, অনুপ্রবেশ রোখা বিএসএফের দায়িত্ব। আপনি বিএসএফ-কে জমি দেননি কেন? জনবিন্যাস বদলে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। জাল আধার ও ভোটার কার্ডে ভরে গেছে বাংলা। টাকা নিয়ে বাংলায় সার্টিফিকেট বিলি হয়। কলকাতা-সংলগ্ন রাজারহাট, নিউটাউনের ডেমোগ্রাফি বদলে দিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকার ডেমোগ্রাফি বদলে দিয়েছে। অবিলম্বে বাংলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চাই। নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইন মানে না রাজ্য সরকার। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের রক্ষা করতে হবে।''