কলকাতা: ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান সমর্থন, বাংলা বন্ধের পর এবার ধর্নায় বিজেপি (BJP)। হাইকোর্টের অনুমতি পেয়েই কাল থেকে ৭দিনের ধর্নায় বিজেপি। একদিনে নবান্ন, কালীঘাট, লালবাজার অভিযানের হুঙ্কার শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)।
এবার ধর্নায় বিজেপি: আর জি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়ে ধর্মতলায় ধর্নায় বসছে বিজেপি। রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট করে তদন্ত বিলম্বিত করার অভিযোগ সহ নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগেও ধর্নায় বিজেপি। ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির অবস্থানে অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আমাদের ১৩২ জন গ্রেফতার হয়েছেন। প্রস্তুত থাকুন একদিনে তিনটে অভিযান হবে। কারা, কবে করবে জেনে যাবেন। একদিনে নবান্ন, কালীঘাট, লালবাজার অভিযান হবে।''
অন্যদিকে পথে নামছে তৃণমূলও। আর জি কর-কাণ্ডে ফাঁসি চেয়ে শুক্রবার কলেজে কলেজে পড়ুয়াদের মিছিলের নির্দেশ মমতার। শনিবার দুপুর ২ থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ব্লকে ব্লকে তৃণমূলের মিছিল। রবিবার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসকে রাস্তায় নামার ডাক তৃণমূলনেত্রীর। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি ছাত্রছাত্রী সমাকে বলব, আপনারা ফাঁসির দাবিতে আগামী শুক্রবার কলেজের গেটে আন্দোলন করবেন। ৩১ অগাস্ট সব মিছিল ও ধর্না হবে। বেলা ২টো থেকে ৬টা পর্যন্ত ধর্না হবে। রবিবার মেয়েরা ধর্না আন্দোলন করবেন ফাঁসির দাবিতে।
এদিকে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ঘিরে, বুধবার কলকাতা থেকে জেলায় গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে পুলিশ-তৃণমূলের খণ্ডযুদ্ধ চোখে পড়ল। বনধ সফল করতে রাস্তায় নামলেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতা-বিধায়করা। বনধের সকালে সকালে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় কোলে মার্কেটে। বিজেপি-তৃণমূলের মধ্য়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায়। বন্ধে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ব্যান্ডেল-হাওড়া শাখার মানকুণ্ডু স্টেশন। দেড় ঘণ্টার বেশি অবরোধ চলার পরে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। পাল্টা পাথর বৃষ্টি শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। ক্যাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে ছত্রভঙ্গ করা হয় অবরোধকারীদের।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Bangla Bandh: 'বনধ আমরা করিনি, পক্ষে-বিপক্ষে কোনও কথা বলব না' মন্তব্য নির্যাতিতার বাবা-মায়ের