কলকাতা: আজ দিল্লিতে 'শাহি' বৈঠকে শুভেন্দু। ইতিমধ্যেই সংসদ ভবনে পৌঁছে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । সংসদ ভবনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বৈঠক। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন-পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গেও দেখা করবেন শুভেন্দু।শুভেন্দুর সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), অনেক বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কী কী বিষয়ে, তা অবশ্য জানাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
প্রসঙ্গত, কদিন আগেই সদ্য কলকাতা সফর করে গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সফরে, নবান্নের ১৪ তলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী(CM)। অমিত শাহকে স্বাগত জানান মমতা, একসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছন নবান্ন সভাঘরে। তারপর ২০ মিনিট কথা হয় দুজনের। পর্যবেক্ষকদের ধারণা আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে থাকতে পারে বাংলায় এজেন্সি অতি সক্রিয়তা। ইদানীং বাংলায় অতি সক্রিয় ইডি সিবিআই। হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ক্রমাগত এজেন্সির তৎপরতা নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণও করে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলাইবাহুল্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে, এই বৈঠক অন্য মাত্রা পেয়েছে। এদিকে গোষ্ঠীবিবাদ, দলীয় সংঘাতের মাঝে শুভেন্দুর দিল্লিতে 'শাহি বৈঠক' ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
কেন্দ্রর বিরুদ্ধে রাজ্যের অভিযোগ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্র রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না। অর্থনৈতিক ভাবে বাংলাকে পর্যুদস্ত করছে কেন্দ্র। এই নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত চলছেই। বিভিন্ন সময়ে তৃণমূল নেতাদের আক্রমণের নিশানায় থেকেছেন শাহ। এই পরিস্থিতিতে দুজনের সাক্ষাৎ রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এক দেশ এক পুলিশ নীতি নিয়েও কথা বয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। অন্যদিকে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনের আবহে নবান্নে পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক সম্পন্ন হল নবান্নে। অমিত শাহ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজনৈতিক ময়দানে একে অপরকে যতই কটাক্ষ করুন না কেন। শনিবাসরীয় সভা শুরু হয় হাসি বিনিময়ের মাধ্যমেই।
আরও পড়ুন, পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর মামলার জের, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্রর বাড়িতে পুলিশ
জানা গিয়েছে, মমতা ও অমিত সাক্ষাতে নজর ছিল সীমান্ত সমস্যার দিকে। জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হল, বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের কার্যকলাপ নিয়ে। এছাড়া আলোচনায় উঠে আসে সীমান্ত দিয়ে পাচার সমস্যার বিষয়টিও। বিশেষত গত কয়েক মাস ধরে সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা চলছিলই।এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়ে থাকতে পারে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।